এবার লক্ষ্মীপুর চৌরঙ্গী জামে মসজিদ কমিটির পক্ষে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর চৌরঙ্গী জামে মসজিদ কমিটির পক্ষে এবার সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে সাড়ে ১২টায় নগরীর লক্ষ্মীপুরের একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মসিজিদ কমিটির সভাপতি ডাক্তার ইকবাল বারি বলেন, এই মসজিদ ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয় এবং মৃত হাজী আতর আলী ১৯৭৪ সালে মসজিদের নামে তাঁর সম্পত্তি ওয়াকফ করে দেন । টিনসেড দিয়ে মসজিদ শুরু হয় বর্তমানে যুগের প্রয়োজনে আধুনিক করা হয় । পাঁচতলা মসজিদ থাকা কালীন অবস্থায় পপুলার ডায়াগষ্টিক সেন্টার অপরিকল্পিত ভাবে নতুন ভবন নির্মান কাজের ফলে পাঁচ তলা মসজিদে ফাটলের সৃষ্টি হয় এবং ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে । অত্র মসজিদ পরিচালনা কমিটির নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে পপুলার ডায়াগষ্টিক কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫ কিস্তিতে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা প্রদান করে যা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় । পপুলার ডায়াগষ্টিক সেন্টারের দেওয়া ক্ষতিপুরণের অর্থ দিয়ে মসজিদ নির্মাণের ব্যয় বহন করা সম্ভব হয় নি ফলে মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দ নতুন নির্মাণাধীন মসজিদে নির্মাণে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন ।
এ মহুর্তে তার উদ্দেশ্য সবার জানা অতীব প্রয়োজন আমিনুর রহমান বাচ্চু ঘটনা সুত্রপাতের কিছুদিন আগে মসজিদ সভাপতির প্রফেসর ডাঃ ইকবাল বারী এর কাছে যান এবং বলেন আমি একটা দোকান নিবো । সভাপতি সাহেব দোকানের নির্ধারিত দামের কথা বললে আমিনুর রহমান বাচ্চু এত পরিমান অর্থ দিয়ে দোকান নেয়ার অপারগতা প্রকাশ করেন । তবে যে ভাবে হোক কম টাকার মধ্যে দোকান বরাদ্দের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেন । সভাপতি তার কথায় অসম্মতি প্রকাশ করায় আমিনুর রহমান বাচ্চু রাগান্বিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে সেখান থেকে চলে যান । তারপর থেকে মসজিদ বিরোধী নানাবিধ অপপ্রচার , কুৎসা রটনার কাজ শুরু করেন । তিনি ( মোঃ আমিনুর রহমান বাচ্চু ) অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তির নাম স্বাক্ষর করিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য আবেদন করেন । কিন্তু এ বিষয় নিয়ে তিনি পূর্বে মসজিদ কমিটির সাথে কোন আলাপ আলোচনা করেন নি । নিজের স্বার্থ হাসিল না হওয়ার কারণে তিনি এই কাজটি করেন ।
এ বিষয়ে উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক রাজপাড়া থানায় দায়ের কৃত জিডির প্রেক্ষিতে থানা কর্তৃক প্রেরিত পুলিশ তদন্তে কোন স্বাক্ষর – প্রমাণ না পাওয়ায় আনীত অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয় । আমিনুর রহমান বাচ্চু মারধরের ঘটনা উল্লেখ করে রাজপাড়া থানায় অভিযোগ গ্রহন করেই খান্ত হয়নি তিনি রাজপাড়া থানার ওসি নামে মামলা না নেওয়ার বিষয় উল্লেখ করে রাজশাহী আদালতে ফৌজদারি ও দেওয়ানি দুটি মামলা করেন এবং একটি মামলাতে তিনি নির্মান কাজ বন্ধ চেয়ে আবেদন করেন। (একজন মুসলিম হয়ে মসজিদের নির্মান কাজ বন্ধের জন্য কোন আবেদন বা মামলা করতে পারে না)।
আমিনুর রহমান বাচ্চু, কাজিহাটা, রাজশাহী গত ১২ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে মসজিদ কমিটির নামে মিথ্যাচার করেন। আমিনুর রহমান বাচ্চু তিনি সংবাদ সম্মেলন এ বলেন যে, দেশের স্বনামধন্য বহু মুসলিম ইঞ্জিনিয়ার থাকার পরেও প্রশান্ত কুমার নামের ভিন্ন ধর্মীয় ব্যক্তিকে মসজিদের নির্মাণের কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। না জেনে, না বুঝে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। এর জন্য তার বাংলাদেশে প্রচলিত আইনানুযায়ী শাস্তি হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
এখানে উল্লেখ্য, প্রাইম কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইঞ্জি : প্রশান্ত দেবনাথ ; কিন্তু আমাদের মসজিদটির প্রকৌশলীর দায়িত্বে রয়েছেন খন্দকার শরিফ রহমান ; বি.এস.সি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ( রুয়েট ) এবং মসজিদটির আর্কিটেকচারার ডিজাইন / ড্রইং করেন এআরসিএইচ কাজী ইনজামামুল হক । কিন্তু এই অকৃতজ্ঞ ব্যক্তি আমিনুর রহমান বাচ্চু তিনি মুসলিম এবং হিন্দু ধর্মকে পুজি করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছেন যা মোটেও ইসলাম ধর্ম সমর্থন করেনা । ক্স মসজিদের জন্মলগ্ন থেকে মসজিদের মূল অংশে মসজিদ ও মসজিদের আওতায় নিয়ে আসা হয় । এ বিষয়ে তাঁর তথ্যটি সম্পূর্ন মিথ্যা কারণ তিনি এই মসজিদের নিয়মিত পাশে মার্কেট ছিল । বর্তমানে মার্কেটের অংশও মুসল্লি ছিলেন না । তাই তাঁর দেওয়া সকল তথ্য ভুল ।
তিনি আরো বলেন- মসজিদের কোন অংশের পজিশন বিক্রি করার বিধান নাই – কথাটি শরীয়া মোতাবেক সত্য ও গ্রহণযোগ্য নয় । কারণ মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে দোকান ঘর করা যাবে কিনা বা পজিশন বরাদ্দ বিক্রয় করা যাবে কিনা তা জানার জন্য মসজিদ কমিটি কর্তৃক একটি সাব কমিটি গঠন করে দেওয়া হয় । তারা দেশী – বিদেশী ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক মসজিদের ইমাম , খতিব সকলে এই মর্মে মতামত দেন যে গ্রাউন্ড ফ্লোরে দোকান করা যাবে তবে বিক্রয়লব্ধ টাকা মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করতে হবে ।
২০০৪ সালের পূর্বের মসজিদ কমিটি ৬টি ( ছয়টি ) দোকান ঘর বিক্রয় করেন এবং বর্তমান কমিটি আরও ১০ টি ( দশটি ) দোকান ঘর মসজিদ নির্মাণের জন্য বিক্রয় করেন । এ পর্যন্ত মোট ১৬ টি ( ষোলটি ) দোকান বিক্রয় করা হয় । এখন আরো ১০ টি ( দশটি ) দোকান মসজিদের সংরক্ষিত আছে । কিন্তু এই অকৃতজ্ঞ এবং অবিবেচক ব্যক্তি আমিনুর রহমান বাচ্চু ২৬ টি দোকান বিক্রয়ের ভুল তথ্য দিয়ে মুসল্লিদের কাছে উপস্থাপন করেছে যা অবাঞ্চিত রাজনৈতিক কার্যকলাপের শামীল ।
এই মসজিদের গ্রাউন্ড ফ্লোরে দোকান ঘর বরাদ্দ / বিক্রয় করা হবে মর্মে লিখা একাধিক ব্যানার , নাইবোর্ড বিগত ২ বছর পূর্বে থেকে সকলের অবগতির জন্য ঝুলানো আছে । তখন এই আমিনুর রহমান বাচ্চু কোথায় ছিলেন । সেই সময় তিনি সংবাদ সম্মেলন করতে পারতেন । বর্তমান মসজিদের ছয় তলার কাজ চলছে । আল – আকসা ডেভেলপার কর্তৃক মসজিদ নির্মাণ বিষয় নিয়ে তিনি যে মিথ্যাচার করেছেন তা সঠিক নয় ।
অত্র লক্ষীপুর চৌরঙ্গী জামে মসজিদে নিয়মিত মুসল্লিদের মাসিক চাঁদা দান ৫০ টাকা থেকে শুরু যার সংখ্যা প্রায় জন । এর মধ্যে তার নাম নেই । সুতরাং তিনি মসজিদের নিয়মিত কোন মুসল্লি ছিলেন না এবং মসজিদে কোন মাসিক চাঁদাও দেন না । রাজশাহীতে এই রকম মসজিদ যেখানে বয়স্ক সকলের জন্য ২ টি লিফট ২ টি সিঁড়ির ব্যবস্থা আছে যা রাজশাহী বাসীর আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।
মসজিদ কমিটি নিয়ে মিথ্যাচার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ তা নিতান্ত অসৌজন্যমূলক এবং অশোভনীয়। এহেন কর্মকান্ডের জন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৩ | সময়: ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর