খুনের মাধ্যমে জিয়া পরিবারের উত্থান : তথ্যমন্ত্রী

নুরুজ্জামান, বাঘা: খুনের মাধ্যমে জিয়া পরিবারের উত্থান উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহামুদ (এমপি) বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আর ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট তার ছেলে তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আইভি রহমানসহ ২৪ জন মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে বাঘার প্রাচীন বিদ্যাপিট আড়ানী মনোমোহিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাঘা উপজেলা আ’লীগের উদ্যোগে বৃষ্টি উপেক্ষা করে এক বিশাল জাতীয় শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ শোক সভায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার সময় মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ যেসব রাষ্ট্র আমাদের পেছনে ছিল তারা এখন আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক উন্নয়ন করে চলেছেন।
এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কুপি, চ্যারাগ বাতি চেনেনা। কারণ দেশে এখন শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়েছে। আমরা নিজেস্ব অর্থয়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছি। ঢাকায় ইতোমধ্যে মেট্রোরেল চালু হয়েছে। এছাড়াও অনেকগুলো মেগা প্রকল্প চলমান। অথচ মির্জা ফকরুল বলেন দেশে উন্নয়ন হয়নি।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহামুদ আরো বলেন, আমরা ইদানিং লক্ষ করছি বিএনপি নেতাদের হতাশার সুর। কারণ তারা ভেবেছিল তাদের সকল চাওয়া পুর্ণ করে নির্বাচন হবে। তারা বিদেশীদের সাপোর্ট পাবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন দেশ তাদের আহবানে সাড়া দেয়নি। কারণ শেখ হাসিনার প্রতি সকল দেশের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তারা বুঝতে পেরেছেন, এদেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এবং রাজশাহীর ৬ বাঘা-চারঘাট থেকে নির্বাচিত সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম শোক সভার সভাপতির বক্তব্যে বলেন, আমরা আজকে যে স্কুল মাঠে জাতীয় শোকসভা করছি এই স্কুল থেকে পড়ালেখা করে তৎকালিন সময়ে মন্ত্রীত্ব করেছেন প্রভাষ চন্দ্র লাহেড়ী। এ অঞ্চলের মানুষ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি প্রিয় মানুষ। আজ সকাল থেকে এখানে বৃষ্টি হচ্ছে।

তারপরও মানুষ যেভাবে শোক সভায় সাড়া দিয়েছেন তা থেকে আমার মনে হচ্ছে, আমরা ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের ন্যায় গণজোয়ারে বাতাসে ভাসছি। তিনি বলেন, এদেশের জনগণ আমাদের সাথে আছে। যতদিন বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়তে না পারবো ততদিন আমরা ক্ষমতায় থাকবো ইনশাল্লাহ।
শোক সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আব্দুল ওয়াদুদ দারা। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ অ্যাড. আদিবা আনজুম মিতা ও রাজশাহী জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলফোর রহমান।
মঞ্চে ছিলেন, পবা-মোহনপুরের সাংসদ আয়েন উদ্দিন, সাবেক সাংসদ জিন্নতুন নেছা তালুকদার, বেগম আখতার জাহান, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, চারঘাট পৌর মেয়র একরামুল হক, বাঘার পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যান, বাঘা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুন লতা, রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রোকনুজ্জামান রেন্টু ও স্থানীয় আ’লীগ নেতাকর্মী সহ সহযোগী সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ।


প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৩ | সময়: ৫:০২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর