সর্বশেষ সংবাদ :

ফের ব্যর্থ লিটন, সাকিবের ১৯ রান ও ১ উইকেট

স্পোর্টস ডেস্ক: দ্বিতীয় বলে চার মেরে শুরু। কিন্তু ভালো শুরুকে পূর্ণতা দিতে ব্যর্থ হলেন লিটন কুমার দাস। আবারও অল্পেই থামলেন তিনি। ভালো শুরু করে ইনিংস বড় করতে পারলেন না সাকিব আল হাসানও। পরে বোলিং অবশ্য খারাপ করলেন না তিনি, পেলেন উইকেটও। তবে মাঝারি পুঁজি নিয়ে পেরে উঠল না তাদের দল।
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) ফাইনালে ওঠার প্রথম সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না সাকিব-লিটনদের গল টাইটান্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে তাদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেল ডাম্বুলা অরা। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বুধবার গল শেষ বলে অল আউট হয় ১৪৬ রানে। ডাম্বুলা লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ২ বল বাকি থাকতে। আগের ম্যাচে এলপিএল অভিষেকে ১ রান করা লিটন এবারও যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান ৭ বলে একটি চারে করেন ৮ রান।
সাকিব ১৭ বলে ৩ চারে করেন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান। বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৩ রানে একটি উইকেট নেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। ম্যাচের দ্বিতীয় বলে ভানুকা রাজাপাকসার বিদায়ের পর উইকেট যান লিটন। মুখোমুখি দ্বিতীয় বলে বিনুরা ফার্নান্দোকে ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মারেন তিনি। চতুর্থ ওভারে বাঁহাতি পেসার হেইডেন কারকে বেরিয়ে এসে বল তুলে মারেন লিটন, টাইমিং হয়নি ঠিকমতো, ডিপ থার্ড ম্যানে ক্যাচ নেন অ্যালেক্স রস।
এরপরই উইকেটে গিয়ে সাকিব প্রথম তিন বল ডট খেলার পর কাভার ড্রাইভে চার মারেন কারকে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে বেরিয়ে এসে বাউন্ডারি মারেন তিনি মিড অনের ওপর দিয়ে। পরের ওভারে আরেকটি চার মারেন নুর আহমাদকে সুইপ করে। দশম ওভারে স্পিনার ধনাঞ্জয়াকে স্লগ সুইপ করে বাউন্ডারির কাছে ধরা পড়ে শেষ হয় সাকিবের ইনিংস।
গলকে বলতে গেলে একাই টানেন লাসিথ ক্রসপুল। ইনিংসের শুরুতে নেমে শেষ ওভারে রান আউট হওয়া ব্যাটসম্যান ৬১ বলে ৭ চারে করেন ৮০ রান। রান তাড়ায় প্রথম তিন ওভারে বিনা উইকেটে ২৯ রান তুলে ফেলে ডাম্বুলা। চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে শুরুর জুটি ভাঙেন সাকিব। তার তৃতীয় বল মিড অনের ওপর দিয়ে চার মারেন আভিশকা ফার্নান্দো। পরের বলেই তাকে ফিরিয়ে প্রতিশোধ নেন সাকিব। বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে লিটনের হাতে স্টাম্পড হন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান।
এই ওভারে ৪ রান দিয়ে উইকেটটি নেন সাকিব। নিজের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম পাঁচ বলে তিনি দেন ৪ রান, তবে শেষ বলে হজম করেন বাউন্ডারি। সাদিরা সামারাবিক্রমা ১৫ বলে ১৩ রান করে বিদায় নেন অষ্টম ওভারে। ৬৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ডাম্বুলাকে টানেন কুসাল মেন্ডিস ও কুসাল পেরেরা। পঞ্চদশ ওভারে বোলিংয়ে ফিরে আরেকটি চার হজম করে সাকিব দেন ৯ রান।
ডাম্বুলার দরকার যখন চার ওভারে ২৭, সপ্তদশ ওভারে নিজের কোটার শেষ ওভার করতে এসে সাকিব দেন কেবল ২ রান। শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন পড়ে ২৫। অষ্টাদশ ওভারে তাবরাইজ শামসির প্রথম দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে ব্যবধান কমান পেরেরা। পঞ্চম বলে মেন্ডিস আউট হয়ে যান ৪৫ বলে ৪৯ রান করে। পরের ওভারে কাসুন রাজিথাকে ছক্কায় উড়িয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন পেরেরা।
শেষ ওভারে ১ রানের প্রয়োজনে দাসুন শানাকার প্রথম বলে আউট হয়ে যান পেরেরা (৪৯ বলে ৫৩)। পরের দুই বলে কোনো রান না এলে খানিকটা উত্তেজনা ছড়ায় ম্যাচে। অবশ্য চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন অ্যালেক্স রস। ফাইনালে যাওয়ার আরেকটি সুযোগ পাবে গল। বুধবার রাতে এলিমিনেটর ম্যাচে বি লাভ ক্যান্ডি ও জাফনা কিংসের মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে আগামী শনিবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে তারা।


প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৩ | সময়: ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ