ডেঙ্গু রোগী বেড়েছে ১০ গুণ

সানশাইন ডেস্ক: সারাদেশে ডেঙ্গু রোগী ১০ গুণ বেড়ে গেছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনে স্যালাইন আমদানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, “সারা দেশে পাঁচ হাজার বেড রেডি রাখতে বলেছি। এখনও অনেক বেড খালি রয়েছে। স্যালাইনের এখন বিশেষ প্রয়োজন, সারাদেশে যারা স্যালাইন তৈরি করে তাদের বলেছি শত ভাগ উৎপাদনে যাওয়ার জন্য।
“হঠাৎ করে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব নয়। প্রতিদিন আমাদের ৪০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন লাগে, সেই ক্ষেত্রে মাসে ১২ লাখ ব্যাগ স্যালাইন লাগে। সব কোম্পানি মিলেও এতো উৎপাদন করতে পারে না। জাহিদ মালেক আরও বলেন, “এজন্য দুই দিন আগে আমরা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মিটিং করেছি এবং নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে বিদেশ থেকেও প্রয়োজনে স্যালাইন ব্যাগ আমদানি করতে পারে।”
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু ইউনিট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। সরকারি হাসপাতালে এখন পর্যন্ত কোনও স্যালাইন সংকট নেই উল্লেখ করে জাহিদ মালেক বলেন, “হঠাৎ করেই স্যালাইনের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ কারণে আমরা বাফার স্টক রাখতে চাই সরকারিভাবে। আমরা নিজেরাও রাখব আর প্রাইভেটকেও দিয়ে দেব। যারা আমদানি করতে চায় তারা এখনই তা করতে পারবে।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “এখনও ডেঙ্গু বাড়তি রয়েছে, এখন পর্যন্ত সারা দেশে ৮০ হাজার ডেঙ্গু রোগী পেয়েছি। গত বছর কম ছিল, এর আগে একটু বেশি ছিল। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৭৩ জন। আমি মনে করি, এটা অনেক বেশি।”
হাসপাতালে ডেঙ্গু ইউনিট পরিদর্শনের সময় জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার, সিভিল সার্জন মোয়াজ্জেম হোসেন খান চৌধুরী, মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. বাহাউদ্দিন, পৌর মেয়র রমজান আলী, মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এ কে এম রাসেল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শিফাত কোরাইশি উপস্থিত ছিলেন।


প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৩ | সময়: ৬:০১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ