সৌদি আরবে অগ্নিকান্ডে নিহত বাগমারায় চারজনের মরদেহ বাড়িতে ফিরেছে

বাগমারা প্রতিনিধি:
আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার দেশে ২৫দিন পর সৌদি আরব থেকে রাজশাহীর বাগমারার চারজনের মরদেহ নিহতের বাড়িতে এসেছে। সরকারি খরচে ও প্রচেষ্টায় তাদের লাশ দেশে পৌঁছলে বুধবার (৯আগস্ট) তাদের মরদেহ নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছানো হয়।
নিহতের পরিবার ও স্বজনেরা জানান, বুধবার ভোরে তাদের লাশ সৌদি আরব থেকে ঢাকার শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশগুলো পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ গ্রামে নিয়ে আসা হয়।

 

 

 

গত ১৪ জুলাই সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ হতে ৩৫০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত হুফুফ শহরের আলআহসা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সিটি (সানাইয়া জাদিদ) এলাকার একটি সোফা কারখানায় অগ্নি দুর্ঘটনায় ৯জন শ্রমিক মারা যান। তার মরদেহ হুফুফ কিং ফাহাদ হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে বলে বাংলাদেশের দূতাবাসের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
যাদের মধ্যে চার জনের বাড়ি বাগমারা উপজেলার ঝিকড়া ও যোগিপাড়া ইউনিয়নে। তারা হলেন ঝিকড়া ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রামের রুবেল হোসাইন, সাজেদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম ওরফে রুবেল আলী এবং বড় মাধাই মুড়ি গ্রামের ফিরোজ আলী সরদার।

 

 

 

 

 

এদিকে লাশ দেশে আনার আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় নিহতদের পরিবারের সদস্যরা সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। এর প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুলাই রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর সরকারি খরচে লাশ দেশে আনার জন্য আবেদন করেন বলে জানান বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম আবু সুফিয়ান। এর প্রেক্ষিতে সরকারি ভাবে লাশ দেশে এনে পরিবারের কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে মোতাবেক লাশ চারটি দেশে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সানশাইন/সোহরাব

 

 


প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৩ | সময়: ১০:৩০ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine