বাঘায় পিতা হত্যার দায় স্বীকার,২৪ ঘন্টার মধ্যে ছেলে আটক

নুরুজ্জামান,বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় রুস্তম আলী নামে এক বৃদ্ধ পিতাকে হত্যা করে পালিয়েছিল তার ছেলে শুকুর আলী। তবে খুব বেশিদুর তিনি যেতে পারেননি । মাত্র ২৪ ঘন্টার মাধ্যে বাঘা থানার চৌকস পুলিশ অফিসার মোবাইল ট্যাকিং এর মাধ্যমে তাকে আটক করেছেন। অত:পর হত্যার দায় স্বীকার করেছে ঘাতক সন্তান শুকুর আলী। এ ঘটনায় পুলিশের উপর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , সোমবার(৭-আগষ্ট)দিবাগত রাতে বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হরিরামপুর পাকারপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে মেহগোনির গাছ বিক্রী ও জমি জমা সংক্রান্ত বিবাদের জের ধরে বৃদ্ধ পিতা রুস্তম আলী (৭০)কে নির্মম ভাবে লাঠির আঘাত ও হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় তার ঘাতক সন্তান শুকুর আলী (৩৫)। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করেন।

এদিকে ঘটনার মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১ টার সময় বাঘা থানা চৌকশ ও সৎ পুলিশ অফিসার ওসি খাইরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একদল সঙ্গীয় পুলিশ ঘাতক শুকুর আলীকে মীরগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) খাইরুল ইসলাম জানান, একজন সন্তান কর্তৃক তার পিতা মার্ডার হবে এটা অত্যান্ত দু:খ জনক ঘটনা। আমি খবরটি পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং খুব মর্মাহত হয়। আর ঠিক তখন থেকে শুকুর আলীকে মোবাইল ট্যাকিং সহ বিভিন্ন সোর্স মাধ্যমে খুজতে থাকি। সকালে সে ঢাকার পথে রওনা হয়েছিল। তবে রাতে সে পুনরায় পাশের গ্রাম মীরগঞ্জে ফিরে আসে। সেখানে অভিযান চালিয়ে আমরা তাকে আটক করি। সে আমাদের কাছে পিতাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। তাকে আজ বুধবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

হরিরামপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান জানান, শুকুর আলী (৩৫) অতি রাগান্বিত একজন বদমেজাজি মানুষ। সে ছোট-খাট বিষয় নিয়ে রেগে যাই এবং মাঝে মধ্যে মানুষকে মারধর করে। তার শারিরিক অথ্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে তার স্ত্রী। সম্প্রতি সে একটি তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী এক নারীকেও মারধর করে। সর্বশেষ সোমবার দিবাগত রাত ১১ টার সময় সে তার বাবা রুস্তম আলী(৭০)এর উপরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এরপর হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই ।

একই কথা বলেন স্থানীয় মনিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই ইনছার আলী । এ ঘটনায় শোকাহত তাদের পুরো পরিবার ও গ্রামবাসী । তবে অতি দ্রুত শুকুর আলী আটক হওয়ায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী সহ স্থানীয় সু-শীল সমাজের লোকজন।


প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৩ | সময়: ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ | সানশাইন