ভোটে গুজব ঠেকাবে মেটা

সানশাইন ডেস্ক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের দায়িত্ব পাওয়ায় আনন্দিত সারাহ কুক। আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে তিনি বলেছেন, ‘খুব ইন্টারেস্টিং’ একটি সময়ে তিনি দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করতে এসেছেন।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে এসে তাকে এ কথা জানান সারাহ কুক। তবে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ডিএফআইডি) বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন সারাহ কুক। আর এবার তিনি এসেছেন হাই কমিশনার হয়ে।
আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত [হাই কমিশনার] হিসেবে যোগ দেওয়ার পর এটাই হচ্ছে আমার সাথে তার প্রথম সাক্ষাৎ। তিনি যখন এখানে ডিএফআইডির প্রধান ছিলেন, তখন আমার সাথে তার পরিচয় ছিল। এটা রুটিন, তিনি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সকলের সাথেই দেখা করবেন, সেই ইয়েতেই আমার সাথে তিনি দেখা করেছেন।
“আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাপারে যেটা তার আগের এরিয়া ছিল, সেটা নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। তিনি নিজে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে অত্যন্ত খুশি, সেটা তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের যে উন্নয়ন তখন হয়েছিল, সেই উন্নয়নের দিকে তিনি লক্ষ্য রাখবেন।”
বাংলাদেশের আইনি অবকাঠামোর অনেক কিছুই যে ব্রিটিশ আইনের ওপর নির্ভরশীল, সে কথা তুলে ধরে আইনমন্ত্রী বলেন, “এখন আইনের ক্ষেত্রে অনেক রকম উন্নয়ন হয়েছে এবং এটা আরও কীভাবে উন্নতি করা যায় সে ব্যাপারে আমরা দুজন আলাপ-আলোচনা করেছি। আমি বিশেষভাবে আমাদের যে জুডিশিয়াল অফিসার ও আইনজীবী আছেন, তাদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আমরা আলাপ করেছি।”
দুর্নীতি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাজার রায় নিয়ে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সঙ্গে কোনো আলাপ হয়নি বলে জানান আইনমন্ত্রী। পাঁচ মামলায় সাজার রায় মাথায় নিয়ে বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন তারেক ও তার পরিবার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের চেষ্টা করছে সরকার।
এ নিয়ে আনিসুল হককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি তথ্যমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপ করে নিই, এরপর আপনাদের (গণমাধ্যম) কাছে ফিরে আসব।” নির্বাচন নিয়ে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কিনা, এ প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন নিয়ে আমার সাথে সেইভাবে কথা হয়নি। উনি আমাকে শুধু এই কথাই বলেছেন, আমি খুব ইন্টারেস্টিং সময়ে বাংলাদেশে এসেছি। “আমি বলেছি, হ্যাঁ, এখন মোর অর লেস আমাদের ফোকাস হচ্ছে নির্বাচন। একটা সুষ্ঠু, অবাধ এবং ভায়েলেন্স ফ্রি নির্বাচন করার ব্যাপারে জনগণের কাছে শেষ হাসিনার সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।”