কুবিতে সাংবাদিক সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায় রাবিসাসের নিন্দা

রাবি প্রতিনিধি : সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লা বিশ^বিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (কুবিসাস) অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ^বিদ্যালয় প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইকবাল মনোয়ারকে (রুদ্র ইকবাল) বিশ^বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (রাবিসাস)।
বৃহস্পতিবার বিকালে এক যৌথ বিবৃতিতে রাবি সাংবাদিক সমিতির পক্ষে সভাপতি তৌসিফ কাইয়ুম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর লোটাস নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকতা হচ্ছে সমাজের দর্পণ ও চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ট লেখনির মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করেন। কিন্তু কুবি ক্যাম্পাসে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে সাময়িক বহিষ্কার স্বাধীন সাংবাদিকতার উপর চপেটাঘাত। প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে কোনো আপত্তি থাকলে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় তা সমাধান করা যেতো। কিন্ত তা না করে উপাচার্য তার স্বেচ্ছাচারিতামূলক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ^বিদ্যালয় থেকে এভাবে বহিষ্কারের ঘটনা নিঃসন্দেহে ন্যাক্কারজনক।
তারা আরও বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি দেশে প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত, হুমকি ও মারধরসহ নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এসব ঘটনা খুবই দুঃখজনক। যা ব¯‘নিষ্ঠ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বাঁধা এবং স্বাধীন গণমাধ্যম ও মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপন্থী। তাই স¦াধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে কুবি প্রশাসনের উচিত অতিদ্রুত সাংবাদিক মোহাম্মদ ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা।
সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর এএফএম আবদুল মঈন দুর্নীতি নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেন। পরে তাঁর বক্তব্য উদ্ধৃত করে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এদিকে, ২রা আগস্ট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অফিস আদেশে দেখা যায়, উপাচার্যের বক্তব্যকে বিকৃত করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগের সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মী ইকবালকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে, মোহাম্মদ ইকবাল অভিযোগ করেছেন তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এমন শাস্তি দেয়া হয়েছে।


প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২৩ | সময়: ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ