ডা. অর্ণা জামানকে রুয়েট ছাত্রলীগের সংবর্ধনা

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ আওয়ামী’ লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং যুব-মহিলালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় ডা: আনিকা ফারিহা জামান অর্ণাকে গনসংবর্ধনা প্রদান করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) অডিটোরিয়ামে ছাত্রলীগ কর্তৃক গনসংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং যুব-মহিলালীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা: আনিকা ফারিহা জামান অর্ণাকে সংবর্ধনা প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) বিইসিএস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও রুয়েট ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. রবিউল আওয়াল, রুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈম রহমান নিবিড়, রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি ইসফাক ইয়াসশির ইপু, মতিহার থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ শেখসহ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও স্থানীয় থানা এবং ওর্য়াড ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ডা: আনিকা ফারিহা জামান অর্ণার হাতে সন্মাননা স্মারক তুলে দেন। এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্য ডা: অর্ণা জামান উত্তরাঞ্চলের পিছিয়ে পড়া নারী সমাজের অগ্রগতি বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক বিশাল অংশ নারী। নারী উন্নয়ন তাই জাতীয় উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। সকল ক্ষেত্রে নারীর সমসুযোগ ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একান্ত অপরিহার্য। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন জাতীয় নির্বাচনে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার দেশে প্রথমবারের মত জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ১৯৯৭ প্রণয়ন করে, যার প্রধান লক্ষ্য ছিল যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত ও অবহেলিত এদেশের বৃহত্তর নারী সমাজের ভাগ্যোন্নয়ন করা। ১৯৯৭ সালে নারী সমাজের নেত্রীবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে ব্যাপক মতবিনিময়ের মাধ্যমে প্রণীত নারী উন্নয়ন নীতিতে এদেশের নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ আন্দোলনের প্রতিফলন ঘটে।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে ২০০৪ সালে তৎকালীন চার দলীয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার উক্ত নীতিতে পরিবর্তন ঘটায় ও জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০০৪ প্রণয়ন করে। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সংশোধিত আকারে প্রণীত হয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০০৮, কিন্তু তার কার্যকর বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার ২০০৮-এ নারীর ক্ষমতায়ন, সমঅধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক প্রণীত নারী উন্নয়ন নীতি পূনর্বহাল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বর্তমান সরকার নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এবং নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার নিমিত্তে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ প্রণয়ন করছে।
নারী যুগ যুগ ধরে শোষিত ও অবহেলিত হয়ে আসছে। পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থায় ধর্মীয় গোঁড়ামী, সামাজিক কুসংস্কার, কুপমন্ডুকতা, নিপীড়ন ও বৈষম্যের বেড়াজালে তাকে সর্বদা রাখা হয়েছে অবদমিত। গৃহস্থালী কাজে ব্যয়িত নারীর মেধা ও শ্রমকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়নি। নারী আন্দোলনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া নারী জাগরণের আহবান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘তোমাদের কন্যাগুলিকে শিক্ষা দিয়া ছাড়িয়া দাও, নিজেরাই নিজেদের অন্নের সংস্থান করুক’। তাই আমি যুব-মহিলালীগের দায়িত্ব পাওয়ায় নারীর অগ্রগতি নিয়ে সামনে কাজ করবো।


প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৩ | সময়: ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর