শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বলেই ভাতা পান অসহায় মানুষ: এমপি এনামুল

স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: রাজশাহীর বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।
গরীব, দুস্থ, অসহায়, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা যেন অন্যের কাছে হাত পেতে না চলে সে ক্রানে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছে। সরকারী সেই ভাতা পাওয়ার ফলে ওই সকল অসহায় ব্যক্তিদের সমাজ কিংবা পরিবারের বোঝা হয়ে আর থাকতে হয় না। তারাও এখন অনেক সম্মানিত।
পরিবারের লোকজন তাদেরকে সম্মান করে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষও পাচ্ছেন সুবিধা। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত যারা দেশে সরকার গঠন করেছে তারা কেউ অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সামগ্রীক উন্নয়নের পাশাপাশি উন্নয়ন ঘটিয়েছেন তৃণমূলের জনসাধারণের। কেউ যেন খাদ্য সমস্যায় পরিবার নিয়ে কষ্ট না পায় সে কারণে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী চালু করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মাতৃকালীন মায়ের মোবাইলে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করছে বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতার মা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কোন একক গোষ্ঠী বা অঞ্চলের উন্নয়ন না আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করছে।
শনিবার সকালে উপজেলার পানিয়া নরদাশ ডিগ্রী কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নরদাশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গোলাম সারওয়ার আবুলের সভাপতিত্বে নরদাশ ইউনিয়নের সকল প্রকার সরকারী সুফলভোগীদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক আরো বলেন, আসন্ন নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের মাঝে লুকিয়ে থাকা কিছু ব্যক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। আওয়ামী লীগের সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে এখন উল্টো পথে নৌকা চালানোর পায়তারা করছে। নৌকার ক্ষতি করার চেষ্টা করে লাভ নেই। দেশের মানুষ বুঝে গেছে কোন সরকার উন্নয়নের সরকার। কোন সরকার জনবান্ধব সরকার। পর্যায়ক্রমে সুবিধাভোগীর তালিকা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কাউকে না খেয়ে থাকতে হবে না। দলে থেকে যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন তারা ভালো হয়ে যান। প্রতিটি নেতার আমলনামা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। ভালো থাকতে চাইলে সঠিক ভাবে সংগঠনের কাজ করুণ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলমত নির্বিশেষে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
নরদাশ ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজামান টুকুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার। অন্যদের মধ্যে ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আহসান হাবিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দীন সুরুজ, মকবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনু অর রশীদ সরকার, আল-মামুন, জাহাঙ্গীর আলম, দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম, নরদাশ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আরকেএম মোসলেম উদ্দীন, চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, মোজাম্মেল হক, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম প্রামানিক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মকুল, মহিলা লীগের সভাপতি কহিনুর বানু, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, কৃষকলীগের সভাপতি মহসীন আলী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম মীর, আব্দুল আজিজ লিটন, যুব মহিলা লীগের সভাপতি শাহিনুর খাতুন, সাধারণ সম্পাদক পারভীন আক্তার।
অপরদিকে বিকেলে সোনাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজাহারুল হকের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, দুস্থমাতা, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সহ অন্যান্য সুবিধাভোগীদের সাথে ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাঞ্চন রায় চৌধুরীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান টুকু, সুফলভোগীর মধ্যে সবিতা রানী।
এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ পৃথক মতবিনিময় সভায় হাজার হাজার উপকারভোগী উপস্থিত ছিলেন। সেই সাথে সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নে অনুষ্ঠানের শুরুতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাগমারার বিভিন্ন উন্নয়ন নিয়ে গান এবং গম্ভিরা প্রদর্শন করা হয়।