ডেঙ্গু নিয়ে সতর্কতায় রাসিক, রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নার স্থাপন

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে রাজশাহী। এডিস মশার বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে ডেঙ্গু যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। রাসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এ বিষয়ে প্রস্তুতি সভা করেছে।
এদিকে এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত না হলেও ঢাকা থেকে আসা ১১ জন এই রোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে পাঁচজন রাজশাহীর, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁর দুজন এবং নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন করে রোগী ভর্তি আছেন। তারা প্রত্যেকেই ঈদে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ‘ডেঙ্গু কর্নার’ করে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুন রামেকে প্রথম তিনজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে দুজনের বাড়ি রাজশাহী, অন্যজন ছিলেন নাটোরের বাসিন্দা। তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন। এদের মধ্যে ১৮ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ পর্যন্ত কেউ মারা যাননি।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মদ বলেন, ‘এ পর্যন্ত যেসব ডেঙ্গু রোগী এসেছেন, তারা সবাই ঢাকায় ছিলেন। সেখান থেকে ডেঙ্গুর জীবাণু নিয়ে এসেছেন। এসব রোগীকে মশা কামড় দেওয়ার পর অন্য সুস্থ মানুষকে কামড় দিলে তার শরীরেও ডেঙ্গুর জীবাণু যাবে। তাই ডেঙ্গু রোগীদের মশারির ভেতর রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ দিকে ডেঙ্গু যেন ছড়িয়ে না পড়ে এ জন্য রাসিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের কথা জানিয়েছে। ইতিমধ্যে রাসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ ও মশক নিধন বিভাগের সভায় মশক নিধন কার্যক্রম আরো জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এডিস মশার বংশ বৃদ্ধির স্থান ধ্বংস করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
রাসিকের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ‘ঢাকার পরিস্থিতি দেখে আমরাও উদ্বিগ্ন। রাজশাহীর অবস্থাও যেন ঢাকার মতো না হয়, এ জন্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাসিকের কর্মীরা এখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগরবাসীকে সচেতন করবেন যেন কোথাও পানি জমে না থাকে। শহরের ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় আরও জোর দেওয়া হবে। এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের জন্য কীটনাশক প্রয়োগ কার্যক্রমও জোরদার করা হবে। মনিটরিং কর্মকর্তারা এগুলো নজরদারি করবেন।
এ ছাড়া নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে জুমার দিন মসজিদে ইমামের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হলে ডেঙ্গুর ঝুঁকি মোকাবিলা করা যাবে বলে আশা করছেন রাসিকের এই কর্মকর্তা।


প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০২৩ | সময়: ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ