কেশরহাট ভূমি অফিস সহায়কের প্রতারণায় অভিযোগ

কেশরহাট প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার ধামিন নওগাঁ গ্রামের বাসিন্দা সন্ধ্যা রানী (৫০)। নিজের ৫৪ শতক জমি খারিজ করতে দেন কেশরহাট ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক ফয়সাল উদ্দিনকে।
এজন্য অফিসের বাইরে ফয়সাল উদ্দিনের সাথে নগদ ১০ হাজার টাকার চুক্তি করেন সন্ধ্যা রানীর মেয়ে জামাই বলয়। বলয়ের কাছে ফয়সাল জমির খারিজ সম্পুর্ণ হতে সময় নেন এক মাস। সেই একমাস অতিবাহিত হয়ে আরো ৬-৭ মাস পেরুলেও জমি খারিজ করতে পারেননি ভুক্তভোগী সন্ধ্যা রানী।
বাধ্য হয়ে জামাই বলয়কে দিয়ে ফয়সালকে চাপ দেন। চাপে ফয়সাল ২ হাজার টাকা ফেরত দেন, আরো ৮ হাজার টাকা ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিতেই থাকেন। এ ভাবেই ফয়সালের প্রতারণার বিস্তর বর্ণনা দেন সন্ধ্যা রানী। গত মঙ্গলবার ভুক্তভোগী সন্ধ্যা রানী সেই ফয়সালের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, ভুক্তভোগী বৃদ্ধা সন্ধ্যা রানীর মত আরো অন্তত অর্ধশত ভুক্তভোগীর সাথে প্রতারণা করেছেন ফয়সাল উদ্দিন। প্রতারিত ভুক্তভোগীরা প্রতিনিয়ত অফিসে এসে ফয়সালের দেখা না পেয়ে ফিরে যান। এমনকি তিনি ভুক্তভোগীদের কারো ফোন রিসিভ করেননা। নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগীরা কেশরহাট ভূমি অফিসে নায়েবের কাছে একের পর এক অভিযোগ করেন।
কেশরহাট ভূমি অফিসের নায়েব ইকবাল কাসেম সুমন বলেন, অফিস সহায়ক ফয়সাল উদ্দিন দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। আমরা ফয়সালের সাথে যোগাযোগে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারিনি। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার একাধিক অভিযোগ লিখিত ভাবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি ফয়সালের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
এদিকে, অফিস সহায়ক ফয়সালের বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার রাজশাহীর তেরখাদিয়া বাসায় গিয়েও তার দেখা মেলেনি। এমনকি বহুবার তার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রিয়াঙ্কা দাস জানান, অভিযোগ এসেছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনেছে। তাদের নির্দেশক্রমে চাকরি বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে তার বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে তা তিনি বলতে পারেননি।


প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২৩ | সময়: ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর