খুলছে রাজশাহীতে কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত 

শাহ্জাদা মিলন
২০০৮ সালে স্লোগান ছিল ‘চলো বদলে দেই’ সেবার বদলে গিয়েছিল রাজশাহী। ২০১৮ সালের স্লোগান ছিল ‘চলো আবারো বদলে দেই’ সত্যিই রাজশাহী বদলে গিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্লোগান দেয়া হয় ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান,এবার হবে কর্মসংস্থান’। এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচনী ইশতেহারের মতো রাজশাহীসহ সারা দেশ ও বিশ্বের আনাচে কানাচে বসবাসকারী বাঙ্গালীরা বিশ্বাস করেন এবার গ্রীণ, ক্লিন, শিক্ষা নগরীর পাশাপাশি পর্যটন শহরের তকমা লেগে যাওয়া রাজশাহীতে গড়ে উঠবে কলকারখানা,গার্মেন্টস, অর্থনৈতিক জোন, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকাসহ পদ্মা নদীতে নৌ বন্দর।

 

 

 

এতে রাজশাহীর শহরের সকল ধরনের জনবলের কাজের জন্য সুযোগ মিলবে। অন্তত ৫০ হাজার জনগোষ্ঠি অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য পাবে আর এর সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে লাভবান হবে সেই পরিবারগুলোর অন্তত ৩ লাখের বেশি মানুষ। নিজ শহরে বাড়িতে থেকে কর্মের জায়গা তৈরি হওয়ায় রাজশাহীর বাইরে পরিবার ছেড়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকার প্রয়োজন হবে না। ফলে যা বেতন তার বেশিরভাগই থাকবে সাশ্রয়ী খাতে। এতে রাজশাহী দ্রুত গতিতে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে। এমনটা ভাবছেন বেশিরভাগ নগরবাসী।

 

২০২৩ সালের রাজশাহী সিটি নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিটি পথসভা, জনসভা, প্রচারণা ছাড়াও নির্বাচনী গানেও কর্মসংস্থানের বিষয়টি বারবার বলেছেন নব নির্বাচিত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মহানগর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শাহীন আক্তার রেণী, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা: আনিকা ফারিয়া জামান অর্ণাসহ দলীয় নেতৃবৃন্দরা। নগরবাসীও খায়রুজ্জামান লিটনের কাজের ধরণ দেখে আস্থা ও বিশ্বাস করেছেন লিটনই পারেন একমাত্র রাজশাহীকে পরিবর্তন করতে।

 

 

অন্য কারো দ্বারা রাজশাহীর অর্থনৈতিক গতিকে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত ভোটে এক চেটিয়া ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তার পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন নগরবাসী। রাজশাহী সিটির আয়তন তিনগুণ বৃদ্ধির পাওয়ায় বিষয়টি জোরালো ভাবে নিয়ে এনেছেন খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচনের ইশতিহারে। ৯৬ বর্গ কিমি. শহরটি ৩৫০ বর্গ কিমি. করার বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন রাজশাহীর চারিদিক দিয়ে ঘেরা পবা উপজেলার বেশিরভাগ জনসাধারন। ফলে নির্বাচনের কয়েকদিন আগে পবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ কয়েকটি ইউনিয়ন নেতাকর্মিরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে মতবিনিময় কালে জোরালো ভাবে খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

 

পবা উপজেলার মো: ইসলাম নামের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী জানান, আমরাও খায়রুজ্জামান লিটনের কাজে সন্তুষ্ট। আমি আশা করি দুই বছর পর লেখাপড়া শেষ পর্যায়ে আসতে আসতে কর্মচঞ্চল নগরী হয়ে উঠবে রাজশাহী। বাড়ি থেকেই চাকরি কিংবা ব্যবসায়ের পরিবেশ তৈরি হবে আমার শহরে। ভাবতে ভালো লাগছে।

 

জাকারিয়া রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে এম.এ শেষ করছেন এবার। তিনি জানান, আমরা শান্তির শহরে বাস করছি। স্থায়ী নিবাসের জন্য দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ এখানে এসে থাকার কথা যখন বলে শুনতে ভালো লাগে। এবার যুক্ত হবে কর্মসংস্থান। আমরা নিজের শহরে থেকে আয় করবো। বাড়িতে পরিবারকে খরচ দিব। কতোটা আত্নবিশ্বাস বাড়ছে সেটা ভাষায় বোঝানো সম্ভব না।

 

ইসলাম, জাকারিয়ার মতো হাজার হাজার তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি হয়েছে হাইটেক পার্কে। সেখানে কম্পিউটারে শেখানো হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং সহ বিভিন্ন ধরনের কাজ। শহরের দশটি পয়েন্টে বসবে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার। ফলে কম্পিউটারে পারদর্শী হয়ে রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা এখানে বসেই আয় করবে বিদেশী ডলার। যা তাদের ভাগ্য ঘোরানোর পাশাপাশি রাজশাহী ও দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে। সেই আশায় বুক বেঁধে রয়েছেন এখানের হাজার হাজার বেকার জনসাধারন। বেকারত্ব ঘোচাতে এবার শুরু হচ্ছে নব নির্বাচিত রাজশাহীর প্রাণপুরুষ ও স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেয়া এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচনী ইশতেহারে এক নম্বরে রাখা ‘‘ এবার হবে কর্মসংস্থান’’।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩ | সময়: ৬:১৮ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine