সর্বশেষ সংবাদ :

লিটনেই ভরসা রাজশাহীর আবাসন ব্যবসায়ীদের

শাহ্জাদা মিলন

আসন্ন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান এবার হবে কর্মসংস্থান ’ এই স্লোগানে ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত নৌকার মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। রাজশাহী শহরে সবচেয়ে বড় বিনিয়গ করা ব্যবসা চলছে আবাসন খাতে। বর্তমানে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত রয়েছেন আবাসন খাতের সাথে। খায়রুজ্জামান লিটনের অন্তত ৫০ হাজার কর্মসংস্থানের যে টার্গেট রয়েছে তার কিছুটা জায়গা পূরণ করার সুযোগ রয়েছে আবাসন খাতে।

 

 

 

রাজশাহী শহরে বিগত ১০ বছর ধরে উচু ভবন তৈরি শুরু হলেও মানুষের মাঝে ইতিবাচক ধারনা তৈরি হয়েছে গত ৫ বছর ধরে। এখন প্রতিদিনই নতুন নতুন ভবন স্থা পনার কাজ শুরু হয়েছে। এই শহর গড়তে সাবেক মেয়রের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা থাকায় এত সুন্দর রাজশাহী গড়া সম্ভব হয়েছে। পর্যটন নগরীর আদলে এখন ভবনগুলো আরডিএ’র নিয়ম মেনে অত্যাধুনিক ডিজাইনে তৈরি করা হচ্ছে।

 

 

 

আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান থাকা অবস্থায় কোন ধরণের ঝামেলা ছাড়াই আমরা কাজ করতে পেরেছি। সবসময় ছায়ার মত মাথার উপরে থাকায় মাত্র ৫ বছরে ভঙ্গুর রাজশাহী এখন মাথা উচু করে দেশ বিদেশে পরিচিত যার নৈপথ্য কিন্তু লিটন সাহেব। আমরা আবাসন ব্যবসায়ীরা সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামানের সুদূর প্রসারী চিন্তা ভাবনার কারনে ও তার দিক নির্দেশনা মেনে যত্রতত্র ভবন না উঠিয়ে ঢেলে সাজাতে চেষ্টা করছি। এছাড়া পরিবেশ বান্ধব ও সবুজ রাজশাহী গড়তে ভবনগুলোতেই গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এই গাছগুলোর পরিচর্যা করতেও কিছু লোকের কর্মের জায়গা তৈরি হয়েছে যা রাজশাহীর অর্থনৈতিক খাতে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলছে।

 

 

ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, যদি ভুইফোড় আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজশাহী থেকে সরানো যায় যারা বিভিন্ন অফার দিয়ে ক্রেতাদের প্রতারিত করার চেষ্টা করছে আমরা তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই, রড বালু সিমেন্ট ইট সব জায়গায় একই দাম তাহলে কিভাবে তারা কম দামের অফার দিচ্ছে। কাজের মান খারাপ থাকলেও সাধারন মানুষরা অনেকেই না বুঝে তাদের ফাদে পা দিয়ে জীবনের সবচেয়ে ঝুকি নিয়ে ফ্লাট কিনে প্রতারিত হলে কিছু করার থাকবে না চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া। এই বিষয়টি যদি কঠোরভাবে দমন করা যায় তবে আবাসন খাতে আমরা আরো বিনিয়গ করতে পারবো। এতে নতুন কিছু কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি হবে যা লিটন ভাইয়ের কর্মসংস্থান তৈরিকে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করবে। রাজশাহীতে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রেডার মাধ্যমে প্রায় ৩০ টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

 

এই সংগঠনের সাধারন সম্পাদক ও আল আকসার প্রা: লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিজানুর রহমান কাজী জানান, আমাদের সংগঠন লালন পালনসহ সকল সুযোগ সুবিধা সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ভাই দিয়েছিলেন। তার পরামর্শেই আমরা ছাদ গার্ডেনিংয়ে উদ্বুদ্ধ হই। যেখানে যতটুকু জায়গা রয়েছে সেখানে একটি করে গাছ অন্তত লাগানোর জন্য ফ্লাট মালিকদের আমরা বলছি। আমাদের পক্ষ থেকে জোর বার্তা দেয়া আছে গাছ লাগাতে সবখানে।

 

 

এ খাতে প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে তিনি বলেন, রাজশাহীকে আমরা গড়ে তুলছি পর্যটনের আদলে অথচ দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকে কিছু টাকাওয়ালা মানুষ নাম সর্বস্ব অফিস নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এত কাজের জায়গা পাচ্ছে তাদের অঞ্চলের মানুষদের। মাঝখানে রাজশাহীর ছেলে মেয়রা বেকার থেকেই যাচ্ছে। এছাড়া কাজের মান কম হচ্ছে। মানুষ কিছু টাকা কম দিয়ে সেদিকে ফ্লাট কেনার আগ্রহ দেখাচ্ছে। কিন্তু বুঝতে পারছেন না তারা বারবার এই ফ্লাটগুলোতে কাজ করতে কতো বাড়তি টাকা তাদের লাগবে। এখনই এসব ভূইফোড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাতে না পারলে আবাসন ব্যবসায় বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে বলে তিনি আশংকার কথা জানান।

সম্ভাবনার বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে ৩ লাখ মানুষ জড়িয়ে রয়েছে। আমাদের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সবাই রাজশাহী অঞ্চলের ছেলে মেয়েরা কাজ করছে। আগামীতে যদি খায়রুজ্জামান লিটন ভাই মেয়র হয় আর রাজশাহীর ব্যবসায়ীদের অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের অন্যান্য নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানগুলোকে দূর করাতে পারেন তবে অন্তত কয়েক হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে উপকার পাবে। তাদের মাধ্যমে বহু মানুষের কাজের জায়গা তৈরি হবে এতে লিটন ভাইয়ের নির্বাচনী অঙ্গীকার কর্মসংস্থানের বিষয়টিতে আমরাও সহযোগিতা করতে পারবো বলে আশা করছি।

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠনটির রেডা’র সভাপতি রহমান ডেভেলপার্সের ম্যানেজিং পার্টনার তৌফিকুর রহমান লাভলুর যোগাযোগ করা হলে ফোন না ধরায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২৩ | সময়: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine