কর্মমুখর নগর গড়ার স্বপ্ন লিটনের

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে অসংখ্য উন্নয়ন দৃশ্যমান। গত ৫ বছরে যে পরিমানে উন্নয়ন হয়েছে সেগুলো রাজশাহী মহানগরীকে নান্দনিক করে তুলেছে। আরো কিছুর কাজ চলমান। তবে আগামীর স্বপ্ন কর্মমুখর রাজশাহী মহানগরী। সেই স্বপ্ন বুকে নিয়ে নির্বাচনে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং আসন্ন ২১ জুন রাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
রাজশাহী মহানগরীর উন্নয়নে এক হাজার ২০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। আরো এক হাজার ৫০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের প্রকল্প প্রায় প্রস্তুত। সাবেক মেয়র লিটন তার সময়ে এ উন্নয়ন কাজগুলো করেছেন। কিন্তু এবার তিনি স্বপ্ন দেখছেন রাজশাহী মহানগরীকে কর্মমুখর করে গড়ে তুলতে। সেই স্বপ্ন বুকে রেখে আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হতে আওয়ামী লীগ নেতা তার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। নির্বাচিত হলে আগামী ৫ বছরে ৫০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা নিয়ে কাজ করতে চান তিনি।
কর্মসংস্থান নিয়ে আগে থেকেই সাবেক মেয়র লিটন কাজ করে যাচ্ছেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে শিল্পাঞ্চল, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ প্রস্তুত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক। এগুলোতে প্রায় ১৪ থেকে ২০ হাজার কর্মসংস্থান হবে। বিসিক-২ এর কাজও শেষ প্রায়। অল্প দিনের মধ্যেই প্লট বরাদ্দ শুরু হবে। সেখানে নারী উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এই বিসিক-২ ঘিরে অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীতে নৌবন্দর হলে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে, কর্মসংস্থান হবে। রাজশাহীতে নৌবন্দর স্থাপন ও নৌরুট চালু করতে চাই। প্রথম পর্যায়ে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে গোড়াগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌরুট চালু হবে। এরপর রাজশাহী হয়ে আরিচা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নৌরুট চালু হবে। এছাড়া রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন ও বাস সার্ভিস চালু করা হবে। বিসিক শিল্পনগরী-২ এর কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে। সেখানে উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কারাখানা গড়ে তোলা হবে। পদ্মায় জেগে ওঠা চরে রিভার সিটি গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মাধ্যমে বিদেশী পর্যটক বাড়বে। এছাড়া রাজশাহীতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে এই কাগুলো বাস্তবায়ন হবে।
এদিকে, গত ৫ বছরে রাজশাহী মহানগরীতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। মহানগরীর রাজশাহী-নওগাঁ প্রধান সড়ক থেকে মোহনপুর-রাজশাহী-নাটোর সড়ক পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ সড়ক নির্মাণ, উপশহর মোড় থেকে সোনাদিঘি মোড় এবং মালোপাড়া মোড় থেকে সাগরপাড়া মোড় পর্যন্ত প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারী মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৩০টি ওয়ার্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-নর্দমাসমূহের উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নর্দমা নির্মাণ প্রকল্পে নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার চিত্র বদলে গেছে।
এছাড়াও, রাজশাহীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটনসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, পরিবেশ উন্নয়নের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য উন্নয়ন প্রকল্প, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৫টি জায়গায় ফ্লাইওভার নির্মাণ, ৫টি সেকেন্ডারি ট্রান্সপার স্টেশন নির্মাণ, মহানগরীর প্রাকৃতিক জলাশয় সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, মহানগরীর সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প, সড়কবাতি ও ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আধুনিকায়ন, শ্রীরামপুর পদ্মা নদীর তীরে বঙ্গবন্ধু ইকো পার্ক নির্মাণ প্রকল্প, শেখ রাসেল সায়েন্স সিটি ও সাফারি পার্ক নির্মাণ প্রকল্প, নগরীর পরিবেশ উন্নয়ন কার্যক্রম, স্বাস্থ্য কার্যক্রম, আলোকায়ন ব্যবস্থার উন্নয়ন, দরিদ্র ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর গৃহনির্মাণ ঋণ প্রদান কার্যক্রম, কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট, শিল্পায়ন, যানজট কমাতে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ, পিপিপির মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ, ডিজিটাল কার্যক্রম, শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানার উন্নয়ন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম, রাজশাহী সিটি মিউজিয়ামসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ কিছু বাস্তাবায়ন ও চলমান আছে।


প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৩ | সময়: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ