ভোলাহাটে গাছের আম পেড়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ভোলাহাট প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে আম বাগানে অবৈধ ভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমবাগানে অনুপ্রবেশ করে আম পেড়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার নতুনহাজীপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেনের আমবাগানে এঘটনা ঘটে।
এর পূর্বে শুক্রবার ভোর ৫ টার দিকে দুর্বৃত্তরা হাসুয়া লাঠিসাটা নিয়ে আম পাড়লে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় বলে জানান বাগান মালিক। পেড়ে নেয়া আম আম ফাউন্ডেশনের হেফাজতে নেয়া হয়।
বাগান মালিক নতুন হাজিপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমার ক্রয়কৃত তফসিলী ২১ শতাংশ জমির খিরসাপাত, লক্ষণভোগ আম দু দফায় উপজেলার উল্লাডাঙ্গা গ্রামের মৃত ফকির মোহাম্মদের ছেলে আনারুল ও তার ছেলে শহিদুল ইসলামসহ ১০-১২ দুর্বৃত্ত আম পেড়ে নেয়। আম পাড়ার পূর্বে তাদের নামে ভোলাহাট থানা ৭ ফেব্রুয়ারি জিডি করা হয়। আম পাড়ার ঘটনায় ভোলাহাট থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বাগান মালিকের ছেলে আলি হায়দার বলেন, দূর্বৃত্তরা ১৯৮০ সালের জাল দলীল তৈরি করে আমার পিতাকে বিভিন্ন সময় ভয় ভীতি দেখাচ্ছিল। আমি বাদী হয়ে পরিবাবের নিরাপত্তার জন্য ভোলাহাট থানায় জিডি করলে জমির দলীলপত্র দেখাবে বলে ১৬ দিনের সময় নিয়ে আসে। কিন্তু এখন পর্যন্ত থানায় জমির দলীলপত্র নিয়ে উপস্থিত হয়নি।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সময় জমিতে গিয়ে জমির সীমানা উঠিয়ে ফেলা ও জমির বেড়া ভেঙ্গে ক্ষয়ক্ষতি করে। এদিকে হঠাৎ ২৬ মে শুক্রবার ভোরে উল্লাডাঙ্গা গ্রামের মৃত্য ফকির মোহাম্মদের ছেলে আনারুল ও তার ছেলে শহিদুল ইসলাম, পুরাতন হাজিপাড়া গ্রামের আশরাফুল (ভদু), নাজিরপুর গ্রামের মশিউর রহমান, মাহফুজ ও দুর্বৃত্ত ফারুকসহ অনেকে হাসুয়া লাঠিসাটা নিয়ে এসে আম পড়া শুরু করে।
আম পাড়ার খবর পেয়ে জরুরী নাম্বার ৯৯৯ ফোন করলে ও আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাট এলাকা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম বাগানে গেলে আম ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ভোলাহাট থানায় ও আম ফউন্ডেশনে অভিযোগ করি।
তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয় দফা ২৯ মে আবারও আম পড়তে আসার কথা শুনে বিষয়টি ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজাকে জানালে এস আই হাবিবকে ঘটনাস্থলে পাঠান। দূর্বৃত্তরা আম পাড়ার সময় পুলিশ আসার খবরে পালিয়ে যায়।
এই ব্যাপারে আনারুলের কাছে মোবাইল ফলে জানতে চাইলে, কিছু বলতে রাজি হননি।
দায়িত্বরত এস আই হাবিব জানান, আমি আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাটের ঐ এলাকার প্রতিনিধি শরিফুল ইসলামের কাছে পেড়ে নেয়া আমগুলো জমা দেয়া হয়েছে।
আম ফাউন্ডেশন প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম জানান, গত ২৬ ও ২৯ মে পেড়ে নেয়া আমগুলো আমার মাধ্যেমে ফাউন্ডেশনের হেফাজতে আছে বলে নিশ্চিত করেছেন।


প্রকাশিত: মে ৩০, ২০২৩ | সময়: ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ