সর্বশেষ সংবাদ :

রাজশাহীর সফল উদ্যোক্তা বোরহানউদ্দিন কেঁচো সার তৈরীর মাধ্যমে মাসে আয় ৫ লক্ষ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার:
সফল উদ্যোক্তা রাজশাহীন গরীর প্রথম শ্রেণির ঠিকারদার বোরহান উদ্দিন আহম্মেদ টিপু। কেঁচো সার(ভারমিকম পোস্ট) তৈরীর করে এখন তার মাসে আয় ৫ লক্ষ টাকা। প্রায় ৮ বছর আগে কলকতা থেকে প্রতিপিস ১২০ টাকা মূল্যে ২০ হাজার কেঁচো এনে ছিলেন। বর্তমানে তার প্রজেক্টে এখন সাড়ে ৫ কোটি উপর রয়েছে এই বিশেষ প্রজাতির কেঁচোর সংখ্যা। যা থেকে মাসে প্রায় ৩৫ হাজার কেজি কেঁচো সার (ভারমিকম পোস্ট) তৈরী হয়। প্রতি কেজি ভারমিকম পোস্ট ১৫ টাকা মূল্যে বিক্রি করে তার মাসে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা আয়হয়। শ্রমিক খরচ ও অন্যান্য ব্যয়বাদে তিনি এখন মাসে প্রায় তিন লক্ষ টাকা সঞ্চয় করছেন। রাজশাহী নগরী কোর্ট এলাকা ও মোল্লা পাড়ায় প্রায় ৫একর জায়গা জুড়ে রয়েছে বোরহান উদ্দিনের কেঁচো সার তৈরীর প্রজেক্ট।

 

 

 

 

বোরহার উদ্দিন বলেন, শুরুতে হোঁচট খেয়ে ছিলেন, তারপর থেমে থাকেননি। দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যব সায়ের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন এই বিশেষ প্রজেক্ট। তাকে দেখে এখন সরকারি কৃষি অধিদপ্তর ও বিভিন্নএলাকা থেকে উদ্যোগ খোঁজ নেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি সরকারি ভাবে সম্মাননাও পেয়েছেন। এখন তিনি সফল বলে মনে করছেন। বোরহান উদ্দিন বলেন, অনেক চড়াই উৎরাই পার করে এখন একটা পর্যায়ে এসে পৌছেছেন।মাসেপ্রায় ৫ লক্ষটাকার কেঁচো সার বিক্রি হয়। ভারমিকম পোস্ট বা জৈব সার এখন খুবই জরুরি হয়ে গেছে। দেশ ও মানব দেহের স্বাস্থ্য সব কিছুইএর সাথে জড়িত বলেই মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করেছি। কৃষকরা এখন সবাই বুঝতে পেরেছে রাসায়নিক সার বাদ দিয়ে এই জৈব সারের দিকেই আসতে হবে। তাই আমি মনে করিএখন জৈব সারের চাহিদা দেশ ব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। আমার একার পক্ষে গোটা দেশ চালানো সম্ভব নয়, তাই নতুন নতুন উদ্যোগতা তৈরী করতে হবে। তাহলে এই খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবেএবং সমৃদ্ধ হবে কৃষিনির্ভর দেশের অর্থনীতি।

 

 

 

 

রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহেল কাফি বলেন, মাটির প্রাণ  হচ্ছে জৈব সার বাভারমিকম পোস্ট। আমাদের দেশের মাটিতে শতকরা পাঁচভাগ জৈব সার থাকার কথা। রাসায়নিক সারের ব্যবহার ও নানা কারণে মাটিতে জৈব সারের পরিমাণ মাত্র এক ভাগে নেমে এসেছে। এটি খুবই মারাত্নক প্রভাব। রাজশাহী তথ্য বরেন্দ্র অঞ্চল শস্য বাফলের ভাণ্ডার বলে পরিচিত। তাই এই অঞ্চলের ফল ও ফসল উৎপাদনের জন্য মাটিতে এই ভারমিকম পোস্ট ব্যবহার খুবই জরুরি। এই প্রজেক্টের মাধ্যমে উদ্যোক্তা শুধু লাভ বান হচ্ছেন , তা না। তিনি বলেন, উদ্যোগ তারা কৃষকদের ওউপকৃত করছেন। এছাড়া এখানে এসে সরাসরি উদ্যোগ তারা জ্ঞান লাভ করতে পারছেন। ফলে দেশের কর্মস্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে, কৃষি সমৃদ্ধ হচ্ছে । তিনিবলেন, জৈব সার বা গোবর সরাসরি মাটিতে ব্যবহার করলে বিষক্রিয়া তৈরী হতে পারে, কিš‘ কেঁচোর মাধ্যমে গোবরকে প্রক্রিয়াজাত করে ভারমিকম পোস্ট তৈরী করা হয়, এটিমাটি ও ফল ফসলের জন্য খুবই উপকারি। এখানে কোনো বিষক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবণা নেই। তাই তিনি এই ধরণে প্রজেক্টের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরী হওয়ার আহবান জানান।

 

 

সানশাইন/সোহরাব

 

 


প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৩ | সময়: ৮:২২ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine