ব্যাটিং দৃঢ়তায় হোয়াইটওয়াশ এড়াল দক্ষিণ আফ্রিকা

স্পোর্টস ডেস্ক: নাটকীয় কিছু হলো না সিডনি টেস্টের শেষ দিনে। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার অর্ডার আর দ্বিতীয় ইনিংসে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তা ব্যর্থ করে দিল অস্ট্রেলিয়ার প্রচেষ্টা। ড্র হলো সিরিজের শেষ টেস্ট। প্রোটিয়ারা এড়াল হোয়াইটওয়াশ।
প্রথম চার দিনে বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতায় অনেকটা সময় ভেস্তে যাওয়া তৃতীয় টেস্টে জিততে পঞ্চম দিনে অস্ট্রেলিয়ার নিতে হতো ১৪ উইকেট। ৬ উইকেটের বেশি নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। ফলো-অনে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ১০৬ রান তোলার পর পাঁচ ওভার বাকি থাকতে ড্র হয় ম্যাচ।
শেষ দিনে উইকেট ছিল কিছুটা মন্থর। যতটা প্রত্যাশিত ছিল ততটা ভাঙেনি উইকেট। প্রথম দুই টেস্টই হারা দক্ষিণ আফ্রিকা শেষটায় অন্তত কিছুটা প্রাপ্তি যোগ করতে পারল। ৪৬ ম্যাচ পর কোনো টেস্ট ড্র করল তারা, ২০১৭ সালের পর প্রথম।
এই ম্যাচ জিতলে আগামী জুনের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত হয়ে যেত অস্ট্রেলিয়ার। অপেক্ষা বাড়ল তাদের। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দক্ষিণ আফ্রিকা রোববার শেষ দিন শুরু করে ৬ উইকেটে ১৪৯ রানে। ফলো-অন এড়াতে প্রয়োজন ছিল ১২৬ রান। মার্কো ইয়ানসেন ও সাইমন হার্মার মিলে কাটিয়ে দেন দিনের প্রায় প্রথম ঘন্টা। এরপর ইয়ানসেনকে (৭৮ বলে ১১) কট বিহাইন্ড করিয়ে ফেরান ট্রাভিস হেড।
খানিক পর হেডের বলেই আউট হতে পারতেন হার্মার। শর্ট লেগে ক্যাচ নিতে পারেননি মার্নাস লাবুশেন। হেড নিজের পরের ওভারে কেশভ মহারাজের ফিরতি ক্যাচ মুঠোয় জমাতে ব্যর্থ হন। যদিও কঠিন ছিল সেটি। জীবন পেয়ে জমে ওঠে দুই ব্যাটসম্যানদের জুটি। লাঞ্চের আগে আর কোনো বিপদ হতে দেননি তারা। বিরতির পর মহারাজ পঞ্চম টেস্ট ফিফটি পূর্ণ করেন ৭৪ বলে। এরপর দ্রুতই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
মহারাজকে (৫৩) এলবিডব্লিউ করে ১৬১ বলে ৮০ রানের জুটি ভাঙেন জশ হেইজেলউড। চোট কাটিয়ে ফেরা এই পেসার পরে বোল্ড করে দেন হার্মারকে (১৬৫ বলে ৪৭)। কাগিসো রাবাদাকে নিজের ফিরতি ক্যাচ বানিয়ে ইনিংসের ইতি টেনে দেন লায়ন। ৩ রানের মধ্যে শেষ ৩ উইকেট হারায় সফরকারীরা। ফলো-অন এড়াতে তখনও প্রয়োজন ছিল ২১ রান।
ম্যাচ বাঁচাতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাটিতে দিতে হতো ৪৭ ওভার। সিরিজ জুড়ে নিজের ছায়া হয়ে থাকা ডিন এলগার ভালো করতে পারেননি শেষটায়ও। নবম ওভারে তাকে ফিরিয়ে দেন প্যাট কামিন্স। আবারও লেগ সাইডের বাইরে দিয়ে কট বিহাইন্ড হন প্রোটিয়া অধিনায়ক। এরপর প্রতিরোধ গড়েন সারেল এরউইয়া ও হাইনরিখ ক্লাসেন। দুজন কাটিয়ে দেন প্রায় ১৯ ওভার। ক্লাসেনকে (৬১ বলে ৩৫) বোল্ড করে জুটি ভাঙেন হেউজেলউড।
দিনের ১৫ ওভার বাকি থাকতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৮২। অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা পারেননি এরউইয়া ও টেম্বা বাভুমার জুটি ভাঙতে। ১২৫ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন এরউইয়া। বাভুমা ৪২ বলে করেন ১৭ রান। অপরাজিত ১৯৫ রানের ইনিংসের জন্য ম্যাচের সেরা উসমান খাওয়াজা।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ | সময়: ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর