সর্বশেষ সংবাদ :

সবজিতেই পকেট ফাঁকা

স্টাফ রিপোর্টার: বেগুনের কেজি ৬০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা! বাজারে সস্তা দুইটি সবজির দামই এখন চোখ রাঙাচ্ছে। আলুর কেজিও ঠেকেছে ৫০ টাকার ঘরে। অনেক সবজি কেজি শতকের ঘর পার করেছে। সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা যেন চোখে সরিষার ফুল দেখছে। যেন সবজি কিনতেই ক্রেতার পকেট ফাঁকা। সবজির সাথে সাথে বাজারে অন্যসব নিত্য প্রয়োজনিয় পণ্যের দামও বেড়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করতে সহযোগিতা করেছেন গোদাগাড়ী প্রেমতলী প্রতিনিধি সেলিম সানোয়ার পলাশ।
শনিবার রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার, নওদাপাড়া, উপশহরসহ আরো কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। আশেপাশের উপজেলাগুলোরও চিত্র একই।
বাজারে গত সপ্তাহে যে বেগুনের দাম ছিল ৩০ টাকা। সপ্তাহ শেষে তা হঠাৎ করে বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা প্রতি কেজি। পেঁপের বাজারেও যেন আগুন ধরেছে। বাজারে প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। আলু গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৩২ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩০ টাকা। চালকুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, করলা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। শশা কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৭০ টাকা। পুঁইশাক ৩০ টাকা,পটল ৮০ টাকা, কাঁচাকলা প্রতি হালি ৩০ টাকা।
সবজির পাশাপাশি পেঁয়াজের দামেও যেন পারদ চড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আদা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, রসূন কেজি ২০০ টাকা, টমেটো কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত।
ডিম, চিনি, বিভিন্ন রকম মসলা ও তেলের দামেও যেন আগুন লেগেছে। প্রভাব পড়ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের উপর। নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন বৃদ্ধির কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের উপর মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে।
এদিকে, চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা, পামওয়েল তেল ১৫০ টাকা, জিরা প্রতি কেজি ছিলো ৮০০ টাকা, চলতি সপ্তাহে তা বেড়ে এক হাজার টাকা হয়েছে।
গোদাগাড়ী প্রেমতলী এলাকার কাচাঁবাজার খুচরা বিক্রেতা হাকিম বলেন, কৃষকের ক্ষেতে সবজি শেষ হয়ে গেছে। যার কারণে বেশী দামে আমাদের সবজি কিনতে হচ্ছে। নতুন সবজি না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই।
একই বাজারে পণ্য কিনতে আসা দিনমজুর সালাম বলেন, সারা দিনে কাজ করে পাই ৫০০ টাকা। বাড়িতে সদস্য ৬ জন, এই টাকা দিয়ে চাল কেনার পর কাঁচাবাজার কিনব না, তেল কিনব না, লবন কিনব বুঝতে পারছি না। সকালে বাজারে এসে যে দামে বাজার নিয়ে যায় সন্ধ্যায় আসলে দেখি আবার দাম বেড়ে গেছে।
রাজশাহী জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, পরিবহন খরচের জন্য বিভিন্ন বাজারে সবজির দাম ভিন্ন। এখন সবজির দাম বেশি। শীতকালিন সবজি শেষ হয়ে গেছে। এখন বাজারে গ্রীষ্মকালিন সবজি। গ্রীষ্মকালিন সবজির এখন ভরা মৌসুম না। চাহিদার তুলনায় সবজি কম। তাই বাজারে সবজির দাম বেশি। গ্রীষ্মকালিন সবজির ভরা মৌসুম জুলাই মাসে। জুন মাসের শেষের দিকে সবজির দাম কমবে।


প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩ | সময়: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ