সর্বশেষ সংবাদ :

রাজশাহীর বাজারে উঁকি দিলো লিচু

স্টাফ রিপোর্টার : মধুমাস জ্যৈষ্ঠের আগেই রাজশাহীর বাজারে দেখা দিয়েছে রসালো ও লোভনীয় ফল লিচু। রবিবার রাজশাহীর সাহেব বাজারসহ কয়েকটি বাজারে দেশিয় আগাম জাতের লিচু বিক্রি করতে দেখা গেছে। অসময়ে হলেও বাড়তি লাভের আশায় আগেই বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে এই লিচু। এখনো পরিপূর্ণতা না পেলেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে এসব লিচু।
ভর মৌসুমের লিচু মিষ্টি ও রসালো হলেও এখনকার লিচু টক-মিষ্টি স্বাদের, আটিও বড়। এরপরও দাম বেজায় চড়া। প্রায় অপরিপক্ক দেশি জাতের ছোট আকৃতির ১০০টি লিচুর দাম চাওয়া হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকার বেশী। ফলে সাধ্যের বাইরে হওয়ায় সাধ থাকলেও আগাম লিচু কিনতে পারছেন না অনেকেই।
ভরা মৌসুমে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার, বিন্দুরমোড়, লক্ষ্মীপুর, স্টেশন ও শালবাগান বাজার ছাড়াও শিরোইল বাস টার্মিনাল সংলগ্ন বিভিন্ন সড়কের দুই পাশে বাহারি এ ফলের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। তবে এখন কেবল সাহেববাজার ও লক্ষীপুরের কয়েকটি দোকানে কিছু লিচু রয়েছে। এই লিচু বছরের প্রথম ফল হিসেবে শখ করে বেশি দাম দিয়েই কিনছেন কেউ কেউ।
রাজশাহী মহানগরীর ঝাওতলা এলাকার ইকবাল আহমেদ জানান, লিচুর দাম অনেক বেশী। ১০০টি লিচু কেনার ইচ্ছা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৫০টি লিচু কিনেই বাড়ি ফিরছেন তিনি। তবে স্বাদ ও আকারে এখনো লিচু পরিপক্ক হয়নি। কেবলমাত্র বাড়তি মুনাফার আশায় ব্যবসায়ীরা গাছ থেকে লিচু ভাঙছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
স্থানীয় লিচু ব্যবসায়ীরা জানান, লিচুকে অতিথি ফল বলা হয়। কারণ এই ফল বাজারে মাত্র এক থেকে দেড় মাস থাকে। এখন বাজারে তেমন লিচু ওঠেনি। এ কারণে লিচুর দাম বেশি। দুই সপ্তাহ পর লিচুর ভরা মৌসুম শুরু হবে। তখন প্রচুর পরিমাণে লিচু বাজারে আসবে। বাজারে দিনাজপুর ও রাজশাহীর লিচু এলেই দাম সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে। তখন সবাই লিচুর স্বাদ নিতে পারবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে লিচুর পাশাপাশি নগরীর সাহেব বাজার ও রেলগেট এলাকায় পাকা আমও বিক্রি হতে দেখা গেছে। ক্রেতারা দেশীয় বলে প্রচার করলেও সংশ্লিষ্ট বলছেন এসব আম ভারত থেকে আসা। এসব আম রাজশাহীর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।


প্রকাশিত: মে ১, ২০২৩ | সময়: ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ