সব বিশ্ববিদ্যালয় মিলে এক ভর্তি পরীক্ষার উদ্যোগ নিতে প্রজ্ঞাপন

সানশাইন ডেস্ক: গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চলতি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছেই ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে এবং আগামী শিক্ষাবর্ষে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) উদ্যোগ নিতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাহমুদুল আলমের স্বাক্ষরে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে শনিবার। সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চ্যান্সেলরের অভিপ্রায় অনুযায়ী বিগত সময়ে যেসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত ছিল তাদের অংশগ্রহণে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ইউজিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হল।একইসঙ্গে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে একক ভর্তি পরীক্ষার আওতায় নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে ইউজিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে এ বিষয়ে বৈঠক করে ইউজিসি। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মিলে যাতে একটি ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া যায়, সেজন্য এবছর থেকেই সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি নিতে বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
৩ এপ্রিলের ওই সভায় তিনি বলেছিলেন, “সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব পরীক্ষার ফলের মান নিয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন ওঠে না। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে এর মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠার সুযোগ থাকবে না।” একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তা, স্বাতন্ত্র্য, স্বায়ত্তশাসন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না মন্তব্য করে দীপু মনি সেদিন বলেন, “ভর্তি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্তিমূলক করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বার্থে একক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে শিগগিরই কমিটি গঠন করা হবে এবং প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে এ পরীক্ষা গ্রহণের জন্য ন্যাশনাল টেস্টিং অথোরিটি (এনটিএ) গঠন করা হবে বলেও জানানো হয় ওই সভা থেকে।
কোভিড মহামারীতে ভর্তীচ্ছুদের দুর্ভোগ এড়াতে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়। শুরুতে ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তে আসে। পরে সেই সংখ্যা বেড়ে হয় ২২টি। তবে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে গুচ্ছে আসতে রাজি করানো যায়নি। শুরু থেকে গুচ্ছ পদ্ধতির নেতৃত্বে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এবার এ প্রক্রিয়ায় না থাকার জোর দাবি জানিয়ে আসছেন। তাদের ভাষ্য, গুচ্ছ পদ্ধতিতে তারা কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার্থী পাচ্ছেন না।


প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৩ | সময়: ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ