ইমরুলের সেঞ্চুরি, মাহমুদউল্লাহর ঝড়ো ফিফটি

স্পোর্টস ডেস্ক: দারুণ সেঞ্চুরিতে ভিত গড়ে দিলেন ইমরুল কায়েস। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ঝড়ো ফিফটি করলেন মাহমুদউল্লাহ ও মাহিদুল ইসলাম। তাদের নৈপুণ্যে বড় সংগ্রহ পাওয়া মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব অনায়াস জয়ে বাঁচিয়ে রাখল সুপার সিক্সের সম্ভাবনা।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবের বিপক্ষে ১০১ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে মোহামেডান। ৩৪৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রানে থামে সিটি ক্লাব। প্রথম পাঁচ ম্যাচে জয়ের মুখ না দেখা মোহামেডানের এটি টানা তৃতীয় জয়। ৮ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে উঠে এসেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
মোহামেডানের বড় জয়ের মূল কারিগর ইমরুল। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের দ্বাদশ সেঞ্চুরিতে ১২১ বলে ১১৪ রান করেন অধিনায়ক। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ইনিংসে ১০ চারের পাশে ছক্কা তিনটি। ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৫৯ বলে ৭১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। মাহিদুল খেলেন ২ চার ও ৪ ছয়ে ৫২ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। চলতি লিগে দুজনেরই এটি দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস।
শুক্রবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট শেষ করে এই ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তের শিকার হওয়া মিরাজ করেন ৬ রান। সাত নম্বরে নেমে ১৬ বলে ২৬ রানের ক্যামিও খেলেন সাকিব। বল হাতে দুজনই নেন ১টি করে উইকেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে একপ্রান্ত ধরে রেখে খেলতে থাকেন ইমরুল। অন্য প্রান্তে হতাশ করেন রনি তালুকদার, সৌম্য সরকাররা। চার নম্বরে নামেন মিরাজ। আসিফ হাসানের বলে তাকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। তবে ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নের সুযোগ অনেক। আসিফের বলটি লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাবেই মনে হচ্ছিল খালি চোখে। ক্রিজ ছাড়ার আগে অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে থাকেন মিরাজ। পরে ডাগআউটেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে ১২১ রানের জুটি গড়েন ইমরুল ও মাহমুদউল্লাহ। ৪৩ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর দলীয় দুইশ হওয়ার আগে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। এরপর মাহিদুলকে নিয়ে ৬৬ বলে ৭৯ রান যোগ করেন মোহামেডান অধিনায়ক। ১০৮ বলে পূরণ করেন নিজের সেঞ্চুরি।
৪৩তম ওভারে ফের দেখা মেলে আম্পায়ারিং ভুলের। মাহিদুলকে করা তৌফিক আহমেদের প্রায় বুক উচ্চতার বলে ‘নো’ ডাকেননি স্কয়ার লেগ আম্পায়ার। মূল আম্পায়ার ‘নো’ ডাকার জন্য হাত উঠিয়েও পরে নামিয়ে ফেলেন। হতাশা দেখা যায় নন স্ট্রাইকে থাকা ইমরুলের চোখে-মুখে।
ওই ওভারে মিড উইকেটের দিকে বড় শট খেলতে গিয়ে পেশিতে টান লাগে ইমরুলের। আহত আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান তিনি। ক্রিজে আসেন সাকিব। মাহিদুলের সঙ্গে স্রেফ ২৬ বলে গড়েন ৪৬ রানের জুটি। দুজনকেই আউট করেন রায়ান রাফসান রহমান। সিটি ক্লাবের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তিনি। আসিফ হাসানের শিকার ২ উইকেট।
পরে ব্যাটিংয়ে নেমে রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই খেলতে শুরু করেন তৌফিক খান। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৫ চার ও ২ ছয়ে স্রেফ ২৬ বলে খেলেন ৩৬ রানের ইনিংস। জয়রাজ শেখ, মাজ আহমেদ সাদাকাত, শাহরিয়ার কোমলরা হতাশ করলে একশর আগেই ৪ উইকেট হারায় সিটি ক্লাব। রাফসান আল মাহমুদ (২৫) ভালো শুরু করেও ইনিংস এগিয়ে নিতে পারেননি।
ষষ্ঠ উইকেটে আসিফ আহমেদের সঙ্গে ১০২ রানের জুটি গড়েন আব্দুল্লাহ আল মামুন। সবশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা মামুন খেলেন চারটি করে চার-ছয়ে ৬৫ বলে ৭০ রানের ইনিংস। আসিফ আহমেদ ৫২ রান করতে খেলেন ৯৬ বল।


প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৩ | সময়: ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ