মাহে রমজান

সানশাইন ডেস্ক : মাহে রমজানুল মুবারক মাঝামাঝিতে এসে গেলো। এ মাসে দয়াময় প্রভুর সবচেয়ে প্রিয় পরীক্ষিত বান্দাদের জন্য আল্লাহ এ নয়নাভিরম পুরস্কার রেখেছেন। জান্নাতুল ফেরদাউস মোমেনের কাঙ্খিত। ইবাদত-আরাধনার ফলিত ফসল।
পবিত্র কুরআনের পাতায়-পাতায় ছড়িয়ে আছে জান্নাত লাভের পথ ও পন্থা। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা জান্নাত লাভের কিছু শর্ত আরোপ করেছেন। জান্নাত লাভের পূর্ব শর্ত হিসেবে তিনি ঘোষণা করে বলেন : ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে এবং সৎ কাজ করেছে, আমি তাদের জান্নাতে প্রবেশ করাব। যে জান্নাতসমূহের তলদেশে প্রবাহিত হবে নদী। তারা চিরকাল সেখানে অবস্থান করবে। আল্লাহ যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা সত্যই সত্য। আল্লাহর চাইতে অধিক সত্যবাদী কে?’ (সূরা নিসা : আয়াত ১২২)।
মানুষ দুনিয়ায় যেমন সঞ্চয় করবে, সে অনুযায়ী আখিরাতে প্রতিদান পাবে। কেননা দুনিয়া হলো আখিরাতের শস্যক্ষেত্র। যার ইমান ও আমল ভালো হবে, তার জান্নাতের প্রতিদান তথা স্তরও হবে সে রকম। আল্লাহ তায়ালা মুমিনের সফলতার কাজগুলো তুলে ধরে বলেন : ‘নিঃসন্দেহে (সে সব) ইমানদার মানুষ মুক্তি পেয়ে গেছে, যারা নিজেদের নামাজে একান্ত বিনয়াবনত হয়, যারা অর্থহীন বিষয় থেকে বিমুখ থাকে, যারা (রীতিমতো) জাকাত প্রদান করে, যারা তাদের যৌন অঙ্গসমূহের হেফাজত করে, তবে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী কিংবা (পুরুষদের বেলায়) নিজেদের অধিকারভুক্তদের ওপর (এ বিধান প্রযোজ্য) নয়, (এখানে হেফাজত না করার জন্য) তারা কিছুতেই তিরস্কৃত হবে না, অতঃপর (বিধিবদ্ধ উপায়) ছাড়া যদি কেউ অন্য কোনো পন্থায় যৌন কামনা চরিতার্থ করতে চায়, তা হলে তারা সীমা লঙ্ঘনকারী বলে বিবেচিত হবে।


প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৩ | সময়: ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ