সর্বশেষ সংবাদ :

কমলা ও ড্রাগন চাষে সফল কলেজ শিক্ষক

চারঘাট প্রতিনিধিঃ

চারঘাট উপজেলায় প্রথমবারের মতো ২০২০ সালে  ড্রাগন ফল চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই শিক্ষক ইসমাইল হোসেন। পরবর্তীতে তাঁর বাগানের ড্রাগন চারা উপজেলার অন্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। ড্রাগনে সফলতার পর এবার পাঁচ বিঘা জমিতে মাল্টা ও তিন বিঘা জমিতে কমলা চাষ করেও সফলতা পেয়েছেন তিনি।

 

একসময় ধারণা ছিল, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা শুধুমাত্র আম চাষের জন্যই উপযোগী। কিন্তু ধীরে ধীরে কৃষির নানা প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সঙ্গে সে ধারণা পাল্টে গেছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভিন্ন জাতের ফসল ও ফল চাষেও সাফল্য আসছে। ইতিমধ্যে এই কলেজ শিক্ষক কমলা ও মাল্টা চাষ করে উপজেলা জুড়ে হইচই ফেলেছেন।

 

ইসমাইল হোসেন চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং বিড়ালদহ কলেজের প্রভাষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি গ্রামে কৃষিকাজ করেন তিনি। গতানুগতিক কৃষির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে লাভজনক ফসল উৎপাদনে বিশ্বাসী তিনি।

 

গত মঙ্গলবার উপজেলার খোর্দগোবিন্দপুর এলাকায় ইসমাইল হোসেনের কৃষি খামার ঘুরতে গেলে দেখা যায়, কৃষি খামারের পূর্বপাশে মাল্টা বাগান ও পশ্চিম পাশে কমলা বাগান। মাঝখানে আতাফল, ড্রাগন ও লেবু রয়েছে। সাথী ফসল হিসাবে পুরো খামার জুড়েই বেগুন চাষ করেছে।

 

এসময় থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা কমলা ও মাল্টা দেখিয়ে ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে বারি-১ জাতের ৯শ ১০ টি মাল্টা এবং তিন বিঘা জমিতে দার্জিলিং ও চায়না জাতের ২ শত ৯০ টি কমলা গাছ লাগিয়েছেন। গাছের বয়স এখন দেড় বছর। কমলা ও মাল্টা সব গাছই এখন ফলে পরিপূর্ণ। এতে খরচ হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। তবে মাল্টা-কমলার সাথী ফসল হিসাবে বেগুন চাষ করে ইতিমধ্যে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা আয় করে ফেলেছেন।

 

তিনি জানান, এই অঞ্চলে পানির সংকট একটি যেকোনো ফল চাষের জন্য বড় সমস্যা। এ সংকট মোকাবিলায় ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতি ব্যবহার করেন ইসমাইল হোসেন। মূল পাইপ থেকে সরু পাইপের মাধ্যমে পানি দেওয়া হয় প্রতিটি গাছের গোড়ায়। এই পদ্ধতিতে পানির অপচয় হয় না। এ মৌসুমে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার মাল্টা ও কমলা বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার বলেন, আমরা তাঁর ফলের বাগান পরিদর্শন করেছি। ইতি মধ্যে তিনি আধুনিক ফলচাষি হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন। ফল চাষে তার গবেষণামূলক মনোভাবও আছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা কমলা ও মাল্টার চেয়ে দেশে চাষ করা কমলার স্বাদ কোনো অংশে কম নয়। এ বিষয়ে তাকে নানা রকম পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 

 

সানশাইন/তৈয়ব

 

 


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২ | সময়: ৯:১৭ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine