টানা তাপদাহে হাঁপিয়ে উঠেছে রাজশাহীর জনজীবন

স্টাফ রিপোর্টার : অব্যাহত রয়েছে তাপপ্রবাহ; টানা গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে অঞ্চলের জনজীবন। এ অবস্থায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল কমে গেছে অনেকটা। তাই ছেদ পড়েছে ঈদের কেনাকাটায়।
বৃহস্পতিবার শহরবাসীর অবস্থায় বেশি বেগতিক। অনেকেই বলছেন, আকাশ থেকে যেমন আগুন ঝরছে, গরমের তীব্রতা এমনই। তীব্র গরমে রোজাদারদের অবস্থাও ওষ্ঠাগত। বৃষ্টি-বাতাস না থাকার এ পরিস্থিতিতে রাজশাহীতে বিদ্যুৎ গোলযোগও ব্যাপক। লোডশেডিং হচ্ছে অহরহ। শহরের বাসিন্দারা বিদ্যুৎ বিভাগকে দুষছেন ঠিকমতো ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই না দেওয়ার জন্য।
রাজশাহীতে বৃহস্পতিবারসহ গত চারদিন ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই আটকে আছে তাপমাত্রার পারদ। কার্যত মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে এ বিভাগে। রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, গত ৩ এপ্রিল রাজশাহী সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৪ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ৪ এপ্রিল ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এটিই এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
জানতে চাইলে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের অপর জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আবদুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। তাই গরমের তীব্রতা বেড়েছে। চলতি বছর মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাত হয়েছে গত ১১ মার্চ। ওই দিন মাত্র ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এরপর সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তাই তাপপ্রবাহ দীর্ঘমেয়াদী রূপ নিয়েছে।
সাধারণত তীব্র তাপপ্রবাহের মৌসুম হিসেবে ধরা হয় তবে মার্চ-এপ্রিলকে। সে হিসেবে বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন এ আবহাওয়া কর্মকর্তা।


প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৩ | সময়: ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ