সর্বশেষ সংবাদ :

 কৃষি বিভাগের তৎপরতায় বাঘায় গমের রেকর্ড উৎপাদন

বাঘা প্রতিনিধিঃ

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে এবং কৃষি বিভাগের তৎপরতায় বিগত কয়েক বছরের তুলনায় গমের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫৭১০ হেক্টর জমিতে মোট ২৬ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন গম উৎপাদন হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৮৮ কোটি টাকা।রোগ প্রতিরোধী উচ্চ ফলনশীল বারি গম-৩৩ জাতের আবাদ এবং কর্তনে কম্বাইন হার্ভেস্টার এর ব্যবহার সংগ্রহোত্তর লস হ্রাস পাওয়ায় এই ফলন বেড়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

 

 

 

বাঘা উপজেলার খানপুর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আজদার হোসেন জানান, তিনি এবার ৩ বিঘা জমিতে বারি গম-৩৩ আবাদ করেছেন, বিঘা প্রতি প্রায় ১৮ মণ হারে ফলন পেয়েছেন। হাবাসপুর গ্রামের গম চাষী মোঃ সাহাবুল ইসলাম বলেন, এ বছর আমরা কম্বাইন হার্ভেস্টার দিয়ে গম কর্তন করেছি। কৃষি অফিস থেকে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ায়, আমাদের গ্রামের সবাই সম্মিলিত ভাবে মেশিন দিয়ে গম কেটেছি।

 

 

 

 

ফলন বিঘা প্রতি ১৬-১৭ মণ পেয়েছি। আগে আমরা বারি গম- ২৬,২৮,৩০ গম করতাম, কিন্তু এ বছর সবাই বারি গম-৩৩ আবাদ করছি। এই গমের ফলনও বেশি, রোগ বালাইও কম লাগে। এছাড়াও মেশিন দিয়ে কাটায় খরচও কম হইছে। উপজেলার চকরাজাপুর,খানপুর,বারশতদিয়ার,মনিগ্রাম,পাকুড়িয়া, গড়গড়ি, বাউশা, আড়ানীসহ বাজুবাঘার বিভিন্ন মাঠে প্রায় ৩০ টির মত কম্বাইন হার্ভেস্টার দিয়ে এইবার গম কর্তন করতে দেখা গেছে।মেশিন দিয়ে ধান কাটতে বিঘা প্রতি ১৪০০-১৮০০ টাকা নিয়েছেন চালকরা।এই মেশিন দিয়ে এক সাথে গম কাটা, মাড়াই,ঝাড়াই ও বস্তাবন্দি হয়ে যাচ্ছে। এতে করে শ্রমিক সংকট অনেকাংশে দূর হয়েছে এবং দ্রুত সময়ে গম কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছে।

 

 

 

বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, কৃষির উৎপাদন বাড়াতে উন্নত জাতের ব্যবহার এবং সেইসাথে যান্ত্রিকীকরণের কোন বিকল্প নাই।বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ করতে হবে। এ কারণেই এ বছর আমরা প্রায় ৯০% জমিতে বারি গম-৩৩ সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হয়েছি।

 

 

তাছাড়া বৈরী আবহাওয়ায় ফসল যাতে নষ্ট না হয়, এ কারণে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিনিয়ত কৃষি আবহাওয়া পুর্বাভাস কৃষকদের কাছে পৌঁছিয়ে দিয়েছি। কৃষকরা যাতে নির্বিঘ্নে গম কাটতে পারে, তজ্জন্যে প্রায় ৩০ টির অধিক কম্বাইন হারভেস্টার এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কৃষক, মেশিন অপারেটর, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং কৃষি বিভাগ, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা শতভাগ গম কর্তন করে ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছি। আগামী বছর শতভাগ জমিতে উন্নতজাতের গম আবাদ করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

সানশাইন/সোহরাব


প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৩ | সময়: ৬:১২ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine