বদলগাছীতে গ্রামীণ সড়কের বেহালদশা

হাফিজার রহমান, বদলগাছী: নওগাঁর বদলগাছীতে গ্রামীণ সড়ক গুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বেপরোয়া ভাবে ইটভাটার মাটি ও ইট বহনকারী ট্রাক্টর চলাচলের কারনে রাস্তাগুলো খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়ে পড়েছে।
প্রতি বছরই ইটভাটার মৌসুমে কয়েক মাস ধরে একই রাস্তা দিয়ে বেপরোয়া ভাবে অনর্গল মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চলাচলের কারনে রাস্তাগুলো চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
বদলগাছী উপজেলার প্রায় এলজিইডির গ্রামীণ রাস্তা গুলো খানা-খন্দে ভরপুর সেদিকে প্রশাসন কোন নজর না দেওয়ায় মেরামতের কিছু দিন পরই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বেপরোয়া ভাবে এই যানবাহনের কবলে পড়ে মাঝে মধেই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আর সেখান থেকে অনেকে মুত্যু বরণ ও পঙ্গুত্ব হচ্ছে।
এছাড়া বিভিন্ন গ্রামের জনসাধারণের চলাচলের জন্য উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের পাকারাস্তা গুলোর একই অবস্থা। এলজিইডির গ্রামীণ রাস্তাগুলো সরকারী ভাবে ধারণ ক্ষমতা ১৫টনের বেশী বোঝাই পরিবহন করা নিষেধ থাকলেও কেউ তা মানছে না।
উপজেলার মথুরাপুর ইউপির চাঁপাইনগর মৌজায় অবস্থিত মুন ব্রিকস (ইট ভাটা) কোমারপর, তেজাপাড়া, সহ উপজেলার বিভিন্ন এলজিইডির রাস্তার উপর দিয়ে সব সময় ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ও ইট পরিবহন করছে। এতে জন সাধারনের চলাচলের ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
ঝুকিপূর্ণ এ রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন কিছু সংখ্যক শিশু শিক্ষার্থী, সাইকেল, মোটরসাইকেল ও ভ্যানসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে হয়। মুন ব্রিকসের মালিক বাচ্চু বলেন, যদিও সরকারী ভাবে নিষেধ আছে তারপরও করার কিছু নেই আমাদেরও তো চলতে হবে।
বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. কানিজ ফারহানা বলেন, ধুলাবালিযুক্ত রাস্তায় চলাচলের দ্বারা শিশুরা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও এই ধুলাবালি নাশিকা দিয়ে প্রবেশ করায় জনসাধারণের শ^াসকষ্ট রোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোখলেছুর রহমান বলেন সরকারী নিয়ম অনুযায় রাস্তা গুলোতে ১৫টনের বেশী লোড দেওয়া নিশেধ থাকলেও কেউ তা মানছে না জন্য এ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাগুলোর অবস্থা খারাপ।


প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩ | সময়: ৬:০২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ