নিয়ামতপুরে মুকুলে ভর্তি আমগাছ কাটার অভিযোগ

নিয়ামতপুর প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে সরকারী পুকুর পাড়ে থাকা মুকুলে ভর্তি ৪টি আম গাছ কেটে ফেলেছেন ঐ পুকুরপাড়ে বসবাসকারী আব্দুস সাত্তার। বুধবার সকাল থেকেই লোকজন নিয়ে ৪টি আমগাছের ৩টি কেটে মাটিতে ফেলে দিয়ে অপর ১টি আম গাছের ডালপাল কেটে দিয়েছেন।
তবে এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত কাটাগাছ ও ডালপালা নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোথাও কোন লিখিত অভিযোগ দায়ে করা হয় নাই।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, নিয়ামতপুর উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের রাওতাল মৌজার, ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তির উপর একটি পুকুর রয়েছে। তারই পাড়ে আমগাছসহ বিভিন্ন জাতের গাছ রয়েছে।
উক্ত পুকুরের পূর্ব পাড়ের গাছগুলোর মধ্যে ৩টি আমগাছ কেটে ফেলে অপর ১টি আম গাছও কাটার জন্য ডালপালা কাটা শুরু করেন।
পুকুরের পাড়ে বসবাসকারী আব্দুস সাত্তার গাছগুলো বিক্রি করে রাওতাল গ্রামের কাশেম সে গাছগুলো ক্রয় করে। কাশেম লেবার দিয়ে গাছগুলো কাটে।
সরেজমিনে গিয়ে কাশেম বা আব্দুস সাত্তার কাউকেই ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় নাই। একজন লেবার এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা কিছু জানি না। আমাদের রাওতালের কাশেম কাটতে বলেছে আমরা কাটছি। তবে এইটুকু জানি, আব্দুস সাত্তার গাছগুলো রাওতালের কাশেমের নিকট বিক্রি করে।
অভিযুক্ত আব্দুস সাত্তারের ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন, গাছগুলো আমরা লাগিয়েছি। তবে জায়গা সরকারের। পুকুর খনন করা হবে। পুকুর খনন করলে গাছগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা চাইনা যে, সরকারের গাছগুলো নষ্ট হোক। তাই যেহেতু গাছগুলো আমরা লাগিয়েছি তাই গাছগুলো নষ্ট না করে আমরা বিক্রি করে দিয়েছি। যে কিনে নিয়েছে সে কেটে নিচ্ছে। তিনি আরো জানান, আমরা স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মৌখিক নির্দেশেই এ গাছগুলো বিক্রয় করি। তবে কারো কাছ থেকে কোন লিখিত অনুমোদন নেয়া হয় নাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় পাড়ইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিব গ্যান্দা বলেন, আমি তাদের কোন লিখিত কিংবা মৌখিক অনুমতি দেই নাই।
এখন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার কিংবা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের না করার কারণে তাদের কোন মতামত গ্রহন করা সম্ভব হয় নাই।


প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৩ | সময়: ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ