গোদাগাড়ীতে কৃষি কর্মকর্তা ও সার ডিলারকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সারের সংকট ও দাম বেশি নেওয়ায় ডিলারকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছে কৃষকরা। সোমবার দুপুর২টায় দিকে উপজেলার কাকন হাটে বিসিআইসি ডিলার মেসার্স জিকে ট্রেড্রার্স এর সত্ত্বাধিকারী তুহিনা আক্তারের দোকান ঘরে সারের জন্য যায় কৃষকরা।
এ সময় সার ডিলার কৃষকদের জানায় সারের সংকট রয়েছে। বেশি দাম দিলে সার সংগ্রহ করে দেয়া হবে। কৃষকরা জানতে চায় বরাদ্দকৃত সার দুইদিনের মধ্যে কোথায় দেয়া হয়েছে। কিন্তু সার ডিলার কোন উত্তর না দিলে দোকান ঘরে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে কৃষকরা।
খবর পেয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ জেলা কৃষি সম্প্রসারনের অতিরিক্ত উপ পরিচালককে সঙ্গে নিয়ে ডিলারের দোকান ঘরে গেলে কৃষকরা বিক্ষোভ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা ডিলারের গুদাম ঘরে গিয়ে বরাদ্দকৃত ৩৬টন সার দেখতে পায়। এ সময় কৃষি কর্মকর্তা রশিদের মাধ্যমে সরকার নিধ্যরিত মূল্য কৃষকদের কাছে সার বিক্রির নির্দেশ দিলে কৃষকরা শান্ত হয়।
স্থানীয় কৃষক আব্দুস সালাম বলেন, চাহিদার তুলনায় কম সার দেন ডিলার। এছাড়ও বেশি দামে সার বিক্রি করে। এসব নিয়ে অভিযোগ করেও লাভ হয় নি। কাদিপুর গ্রামের আর এক চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, সারকারি দামের থেকেও বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। কিছু করার নেই। বেশি দামেও ঠিক মত স্যার দেয় না। তাই আজকে তাকে আটকিয়ে রেখেছিলাম।
সারের কৃত্রিম সংকট রোধ ও নায্যমূল্য নিশ্চিতকরনের দাবিতে ডিলার ও কৃষি কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করছে কৃষকরা। সোমবার বিকেলে উপজেলার কাঁকন হাট পৌরসভার দায়িত্ব প্রাপ্ত বিসিআইসি সার ডিলার মেসার্স জিকে ট্রেড্রার্সের সত্ত্বাধিকারী তুহিনা আক্তার সহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ কৃষকদের নিকট অবরুদ্ধ হন।
স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তায় নানান অনিয়ম করে সারের বেশি দাম ও সংকট দেখানোর প্রতিবাদে তাদেরকে আটক করে স্থানীরা।
কৃষকরা ডিলারের বিরুদ্ধে সার কালোবাজারি করে বেশি দামে বিক্রিয়, সার না আনা কৃত্রিম সংকট তৈরি, কৃষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যাবহার, সময় মতো সার না দেওয়ার অভিযোগ করেন।
তারা জানায় ডিলার পটাশ সার ১৭০০-১৮০০টাকা দাম নিলেও এর সরকারি বিক্রয় মূল্য ৭৫০ টাকা, টিএসপি সার ১১০০ টাকায় বিক্রির নিয়ম থাকলেও নিচ্ছেন ২০০০টাকা, ডিএপি সারের দাম নিচ্ছেন এভাবেই। একটি সার নিলে অন্য সার নিতে বাধ্য করছেন। কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশ ও সখ্যতা করে ডিলার এসব করছে বলে কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ বলেন, গোদাগাড়ীতে সারের সংকট নেই। ডিলার গুদামে সার রেখে সংকট দেখিয়ে কৃষকদের কাছে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩ | সময়: ৬:৩২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ