সর্বশেষ সংবাদ :

আবাসন মেলায় আল-আকসা স্টলে উপচে পড়া ভিড়

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে পঞ্চম বারের মত আবাসন মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে নগর ভবনের গ্রীন প্লাজায়। শনিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া এ মেলায় গতকাল বিকেলের পর থেকে রাত ৯.৩০ পর্যন্ত বিপুল পরিমান দর্শনার্থী মেলায় দেখতে এসেছেন। এর মধ্যে যারা বাড়ি করবেন কিংবা ফ্লাট কেনার কথা ভাবছেন এ ধরনের দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম দেখা যায়। তবে মেলায় আগত অনেক মানুষকে দেখা যায় আল-আকসার স্টলে।
ব্যাংকার আব্দুল হাকিম সন্ধ্যায় এসেছেন রেডি ফ্লাট এর বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে। তিনি জানান, রাজশাহী শহরে জমির দাম কয়েকবছরে কয়েকগুন বেড়েছে। আমার পরিবারে এক পুত্র ও স্ত্রী। তাই জমি না কিনে শহরে রেডি প্লট কেনার কথা ভাবছি। মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেখে এখানে আসা। শহরে আরো কয়েকটা ডেভেলপারের ভালো ভালো বিল্ডিং চোখে পড়েছে। সেজন্য এক ছাদের নীচে সব ডেভেলপারদের এক সাথে পাওয়া ও তাদের কার্যক্রম চোখে পড়বে তাই মূলত এখানে আসা।
তিনি আল -আকসার স্টলে ঘুরে বলেন,শুনেছি তাদের কমিটমেন্ট খুব ভালো। তাছাড়া শহরের মূল কয়েকটি জায়গায় তাদের ভালো ডিজাইনের বিল্ডিং চোখে পড়েছে। তাই বর্তমানে রেডি ফ্লাটের কেমন দাম সেটি জানতে প্রথমে এই স্টলে আসা।
মেলায় ঘুরতে আসা মধ্যবয়সী দুই গৃহিনী জানান, আমরা বাড়িতে থাকি। নিজেদের বাড়ি হবে এটা কে না চায়। আমরা দুজন বান্ধবি মিলে পাশাপাশি দুটি ফ্লাট কেনার কথা বলেছি বাসায়। সেজন্য এখানে ঘুরতে আসা।
মেলার পরিবেশ খুব ভালো লেগছে জানিয়ে তারা বলেন, জেল খানা রোডে একটি বড় বিল্ডিং এর কাজ চলছে। সেটি নাকি আল -আকসা ডেভেলপার করছে। লক্ষীপুরে ও সিএন্ডবিতে তাদের আরো দুইটা বড় বিল্ডিং রয়েছে। খুব সুন্দর তাদের ডিজাইনগুলো। তাই খোঁজ নিতে এই স্টলে আসা।
আল-আকসা প্রা: লি: প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও রেডার সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান কাজী বলেন, আমরা কমিটমেন্ট ঠিক রাখা ও ক্রেতাদের স্বার্থ আগে দেখি। ব্যবসা সবাই করে তবে আমরা একটু আলাদা ভাবে চিন্তা করি। বৈশি^কভাবে সকল জিনিসের দাম বাড়তি হওয়ায় সকলের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আমরা সেই বিষয়টি বিবেচনা করে এবছর থেকে প্রায় ৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়েছি। যারা আমাদের জমি দিবেন কিংবা আমাদের তৈরিকৃত ফ্লাট কিনবেন তারা একটি করে কার্ড পাবেন। ঐ কার্ড দিয়ে ৩০টি বেশি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫% থেকে ৫০% সুবিধা পাবেন। সেখানে হসপিটাল,হোটেল,ব্যাংক ছাড়াও আরো কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে।
পারস্পরিক সহযোগিতায় ব্যবসা করতে এ ধরণের ব্যতিক্রম উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা চাই করোনার পরবর্তী প্রভাব ও বৈশি^ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চললে বর্তশান অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবো সকলে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩ | সময়: ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ