সর্বশেষ সংবাদ :

পরিশ্রমের ফল পাওয়ায় তৃপ্তি বাংলাদেশ কোচের

স্পোর্টস ডেস্ক: শেষের বাঁশি বাজতেই সবাই ছুটল মাঠে। লাল-সবুজের ঢাউস পতাকা নিয়ে মেয়েরা চক্কর দিল স্টেডিয়ামের চারধারে। তাদের বাঁধনহারা উদযাপনে যোগ দিল কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আসা সমর্থকরাও। মেয়েদের মতো দীর্ঘ দিনের পরিশ্রমের ফল পাওয়ার তৃপ্তি সঙ্গী হলো কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনেরও।
কমলাপুরে বৃহস্পতিবার নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জয়ের উৎসবে মাতে বাংলাদেশ। কেবল শিরোপা নয়, সেরা খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা গোলকিপার-সব পুরস্কারই জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ৫টি গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জয়ের পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার। সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন সব মিলিয়ে চার ম্যাচে মাত্র একবার পরাস্ত হওয়া রুপনা চাকমা। মুঠোভরে পাওয়ায় ছোটনের উচ্ছ্বাস তাই আরও বেশি।
“এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্য দিনের পর দিন মেয়েরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। গতবার আমরা এ আসরে ভারতের সমান পয়েন্ট পেয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি, গোল পার্থক্যে রানার্সআপ হয়েছিলাম। এবার মেয়েরা তাদের কঠোর পরিশ্রমের পুরস্কার পেয়েছে।” “নেপাল ম্যাচে চোট পাওয়ার কারণে শামসুন্নাহারকে নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা অনেকে বলেছিল, কিন্তু সে ফিরে নিজের সামর্থ্য দেখিয়েছে। আমি সবসময় বলেছি, শামসুন্নাহার আমাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। টুর্নামেন্ট জুড়ে সে দেখিয়েছে দলের জন্য সে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”
শামসুন্নাহার, রুপনারা গত বছর সেপ্টেম্বরে নেপালকে হারিয়েই সিনিয়ার সাফে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বাদ নিয়েছেন। দূর থেকে তা দেখেছেন শাহেদা আক্তার রিপা। ফাইনালে দলকে এগিয়ে নেওয়া গোল করা এই ফরোয়ার্ড জানালেন, জাতীয় দলে খেলার দিন গুণছেন তিনি।
“খুব ভালো লাগছে। এর আগে এই মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, এবার অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন হলাম। অবশ্যই ভালো লাগছে। গোলটা করার পর মনে হচ্ছিল কাপটা এবার আমরাই নিব। ভুটান ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেছিলাম বলে আক্ষেপ ছিল, কষ্ট পেয়েছিলাম। শট নেওয়ার সময় ভাবতে পারিনি গোলটা হবে, মেরেছি, গোল হয়ে গেছে। এখন লক্ষ্য সিনিয়র টিমে খেলা।”


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩ | সময়: ৪:১৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ