সর্বশেষ সংবাদ :

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বেড়েছে শতভাগ ফেলের প্রতিষ্ঠান কমেছে শতভাগ পাস

সানশাইন ডেস্ক: উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে পাসের হার ও জিপিএ কমার পাশাপাশি এবার ফলের আরও দুই সূচকেও অবমনমন ঘটেছে; শতভাগ পরীক্ষার্থী ফেল করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ার বিপরীতে কমেছে শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান।
২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৯ হাজার ১৪৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০ টির কোনো পরীক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি। আর সব শিক্ষার্থী পাস করেছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এক হাজার ৩৩০টি। গত বছর কেউ পাস করতে পারেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫টি। সেই হিসাবে এবার শতভাগ ফেল প্রতিষ্ঠানের বেড়েছে ১০ গুণ।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীই পাস করেছে, এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২০২১ সালে ছিল ১ হাজার ৯৩৪টি। এবার সেই সংখ্যা থেকে কমেছে ৬৪০টি। চট্টগ্রাম, বরিশাল এবং সিলেট বোর্ডে শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। ১৩টি প্রতিষ্ঠানে শূন্য পাসের বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে দিনাজপুর বোর্ড।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের আটটি, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের নয়টি, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের পাঁচটি, যশোর শিক্ষা বোর্ডের ছয়টি এবং ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডের তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী ফেল করেছে এবার। সব শিক্ষার্থী ফেল করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার মাদ্রাসা বোর্ডে চারটি এবং কারিগরি বোর্ডে দুটি।
আর শতভাগ পাস করা ১ হাজার ৩৩০টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮১৪টি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে। এছাড়া কারিগরি বোর্ডের ২১৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। মাদ্রাসা বোর্ডে গত বছর শতভাগ পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩টি। আর কারিগরি বোর্ডের ১৯৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে গতবছর শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
ঢাকা বোর্ডে ৯৩টি, রাজশাহীতে ৩১টি, কুমিল্লায় ৩৭টি, যশোরে ৩৯টি, চট্টগ্রামে ১৬টি, বরিশালে ৩৪টি, সিলেটে ১১টি, দিনাজপুরে ২৪টি করে এবং ময়মনসিংহে ১২টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ঢাকা বোর্ডে ১৭৬টি, রাজশাহীতে ১৬২টি, কুমিল্লায় ৭৫টি, যশোরে ১১৬টি, চট্টগ্রামে ১৬টি, বরিশালে ৫৬টি, সিলেট ও দিনাজপুরে ৫৩টি করে এবং ময়মনসিংহে ২৯টি।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বুধবার ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এবারের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার কমে ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ হয়েছে, যা ২০২১ সালে ছিল ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এছাড়া, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০২১ সালের ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন থেকে কমেে এবার হয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। ২০২০ বছর মহামারীর কারণে উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা মিলিয়ে মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয়। তাতে শতভাগ ছাত্রছাত্রী পাস করে।
আর তার আগে, ২০১৯ সালের পরীক্ষায় ৯০৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীই পাস করে, ৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩ | সময়: ৭:২০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ