এপ্রিলে সুপার কাপ, দুয়ার খুলছে মোহামেডানের সামনে

স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি মাসেই শুরু হবে বাছাই, মূল পর্ব এপ্রিলে-সুপার কাপ আয়োজনের জন্য মোটামুটি এই দিনক্ষণ ঠিক করে রেখেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এক-দুই দিনের মধ্যে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেলে চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
বাফুফে ভবনে সোমবার গণমাধ্যমকর্মীরা ভিড় করে মূলত জাতীয় দলের সাবেক কোচ জেমি ডের পাওনা পরিশোধের ইস্যু নিয়ে দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটির অবস্থান জানতে। এ বিষয়ে অবশ্য মুখে ছিপি দিয়ে রাখলেন সোহাগ। কথা বললেন, কোটি টাকার সুপার কাপ নিয়ে, যে আসরটি ২০১৩ সাল থেকে আছে হিমাগারে। ২০০৯ সালে কোটি টাকার সুপার কাপ আয়োজন করে সাড়া ফেলে দিয়েছিল বাফুফে। এরপর ২০১১ ও ২০১৩ সালে দুটি আসর হয়েছিল, কিন্তু পরে অনেকবার গুঞ্জন শোনা গেলেও আলোচিত সুপার কাপ আলোর মুখ দেখেনি।
এ বছর তা আয়োজনের আশ্বাস আগেই দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন; তা এখন আলোর মুখ দেখার পথে। বাফুফে সাধারণ সম্পাদকও জানালেন মোটামুটি একটি কাঠামো দাঁড় করিয়ে ফেলার কথা।
“ছয় দল নিয়ে সুপার কাপ হবে এপ্রিলে। ২ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হবে ১৩ তারিখে-এটা চূড়ান্ত পর্ব। তিনটি করে দল দুই গ্রুপে খেলবে, প্রতি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি করে দল সেমি-ফাইনাল খেলবে এবং এরপর ফাইনাল। এই ছয়টি দল নির্বাচনের জন্য আমাদের বাছাই প্রক্রিয়া আছে। (গত মৌসুমের) লিগ টেবিলের সেরা চারটি দল সরাসরি মূল পর্বে খেলবে। এ মাসের ১৪ ও ২৮ তারিখে গত বছরের লিগ টেবিলের বাকি ৭টি দলের মধ্যে বাছাই পর্ব হবে, সেখান থেকে ২টি দল পাবে মূল পর্বের টিকেট।”
“টুর্নামেন্ট নিয়ে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আজও আলোচনা হয়েছে। আমরা খুব করে আশা করি, আগামীকাল বা আগামী দুদিনের মধ্যে স্পন্সরশিপের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারব। ১৪ তারিখে খুব সম্ভবত ৩টি ম্যাচ থাকবে, এখান থেকে জয়ী তিন দল ও বাকি এক দলসহ মোট ৪ দল নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি বাছাইয়ের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।”
২০১১ সালের সুপার কাপ জেতা আবাহনী গত লিগ টেবিলে সেরা চারে থাকায় সরাসরি মূল পর্বে খেলবে। তাদের মতো বসুন্ধরা কিংস ও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবও সুযোগ পাবে সরাসরি খেলার। গত লিগে তৃতীয় হওয়া সাইফ স্পোর্টিং সিনিয়র দলের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়ায় পঞ্চম স্থানে থাকা মোহামেডান স্পোর্টিংকে বাছাই পেরুতে হবে না বলে জানালেন সোহাগ। সুপার কাপের তিন আসরে দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব; ২০০৯ ও ২০১৩ সালে।
ভেন্যুর বিষয়টিও এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি বাফুফে। বরাবরের মতোই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজনের ভাবনা ছিল, কিন্তু সংস্কার কাজ চলায় তা হচ্ছে না। সোহাগ জানালেন, এবারের মূল পর্ব ঢাকার বাইরে এক ভেন্যুতে হবে।
“ভেন্যু নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, আমাদের পেশাদার লিগ কমিটির মিটিংয়ে খুব শিঘ্রই সুপার কাপের ভেন্যু কি হবে, সেটা চূড়ান্ত হবে। যদিও বছরের শুরুতে কমিটির একটা ফিডব্যাক ছিল, সুপার কাপ আমরা ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে করতে পারি কিনা। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে বোঝা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুতে সুপার কাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।”
“বাছাইয়ের ম্যাচগুলো হয়ত আমরা প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যুগুলোতে করতে পারব, কিন্তু মূল পর্ব হবে সেন্ট্রালাইজড ভেন্যুতে, ধরে নেওয়া যায় ঢাকার বাইরে। ওই সময় লিগে ও অন্যান্য খেলা বন্ধ থাকবে।” এবারের প্রাইজমানি ও দলগুলোর অংশগ্রহন ফি বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন সোহাগ।
“এটা নিয়ে বোর্ড মিটিংয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি, প্রাইজমানি ও পার্টিসিপেশন ফি যেন আরও বেশি আশাব্যাঞ্জক হয় এবং বাফুফের পক্ষ থেকে যেন টুর্নামেন্ট আরও কালারফুল করা হয়, এগুলো নিয়ে আমরা পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করব।”


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩ | সময়: ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ