চীনের সঙ্গে ২০২৫ সালের মধ্যেই যুদ্ধ, ধারণা মার্কিন জেনারেলের

সানশাইন ডেস্ক: মার্কিন এক চার-তারকা জেনারেল তার লেখা এক মেমোতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আগামী দুই বছরের মধ্যেই চীনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে বলে বলছে তার অনুভূতি। তবে তার এ বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পর্যালোচনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন পেন্টাগনের কর্মকর্তারা।
“আশা করছি, ভুল প্রমাণিত হোক। কিন্তু আমার প্রখর অনুভূতি বলছে, ২০২৫ সালেই লড়বো আমরা,” সামরিক নেতৃত্বকে লেখা মেমোতে এমনটাই বলেছেন মোটামুটি এক লাখ ১০ হাজার সদস্যের এয়ার মোবিলিটি কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইক মিনিহান। চিঠিতে ১ ফেব্রুয়ারি তারিখ থাকলেও সেটি শুক্রবারই পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
চার-তারকা এই জেনারেলের দৃষ্টিভঙ্গি পেন্টাগনের ভাবনার প্রতিনিধিত্ব না করলেও তাইওয়ানের কর্তৃত্ব নিতে চীনের সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে যে উদ্বেগ রয়েছে, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। চীন তাইওয়ানকে তার বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড মনে করে; নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় স্বশাসিত দ্বীপটির ওপর বল প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয় না বেইজিং।
অন্যদিকে তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ মনে করে। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাসী হলেও যে কোনো আগ্রাসন মোকাবেলায় তাইওয়ানকে সামরিকভাবে সহায়তা করতে তারা আইনগতভাবে বাধ্য। মিনিহান লিখেছেন, আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি তাইওয়ানেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে, যা চীনকে তাইওয়ানে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে।
“এসব মন্তব্য চীন বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিনিধিত্ব করে না,” বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও বলেছিলেন, সম্প্রতি তাইওয়ান উপকূলের আশপাশে চীন সামরিক তৎপরতা জোরদার করলেও তা তাইওয়ানে বেইজিংয়ের আগ্রাসন আসন্ন এমন ইঙ্গিত দেয় কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে তার।
বেইজিংয়ের শাসন মেনে নিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন স্বশাসিত দ্বীপটির ওপর কূটনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক চাপ বাড়িয়েছে। আর তাইওয়ানের সরকার বলছে, তারা শান্তি চায়, তবে আক্রান্ত হলে তা মোকাবেলা করতেও তারা প্রস্তুত। মিনিহানের মেমো বিষয়ে এনবিসি নিউজ প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে; মেমোটির একটি কপি রয়টার্সও পর্যালোচনা করে দেখেছে।
এ প্রসঙ্গে মন্তব্য চাওয়া হলে মার্কিন বিমানবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার এক বিবৃতিতে বলেছেন, “চীনের সঙ্গে সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা একটি মুখ্য চ্যালেঞ্জ।” “শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার দিকেই এখনো আমাদের নজর আছে,” বলেছেন তিনি।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩ | সময়: ৭:০১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ