রাবির দুই শিক্ষক পেলেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক ও অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আবদুল জলিল। তাঁরা দুজনই ফোকলোরে অসামান্য অবদান রাখায় এই পুরস্কার পেয়েছেন। বুধবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটির সদস্যের সম্মতিক্রমে ও বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। অমর একুশে বইমেলা ২০২৩’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন।
অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক ১৯ আগস্ট ১৯৩৭ সালে সিরাজগঞ্জের চরনবীপুুরে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একাধারে বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, কলামনিস্ট ও রাজনীতিবিদ। তিনি রাবির সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান। কর্মজীবনে অধ্যাপক আবদুল খালেক পাবনার সরকারী এডওয়ার্ড কলেজের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেন। পরবর্তীতে রাবির বাংলা বিভাগে যোগদান করেন। পরে রাবির তিনি নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক আবদুল খালেক একজন যশস্বী শিক্ষাবিদ ও চতুর্ভাষিক। তিনি বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত ও চীনা ভাষায় পারদর্শী। তিনি ১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ বাংলা একাডেমী থেকে গুণীজন সংবর্ধনা, ২০০৫ সালে মীর মোশাররফ হোসেন স্বর্ণপদক, ২০১০ সালে স্মৃতি স্মারক, ২০১৫ সালে রবীন্দ্র মেলা সম্মাননা স্মারক, বাংলা বিভাগ অ্যালামনাইয়ের ‘সম্মাননা স্মারক-২০১৭’, ফোকলোর গবেষণায় ‘ড. আসাদুজ্জামান সাহিত্য পদক’, ২০১৭ সালে জোহরা-শামসুন্নাহার সাহিত্য গবেষণা পুরস্কার, একই বছরে ড. আসাদুজ্জামান সাহিত্য পদকে ভূষিত হন।
অধ্যাপক ড. মুহম্মদ আবদুল জলিল ১৯৪৮ সালের ৬ জুন সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার হলদিঘর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে একজন শিক্ষক, ফোকলোর গবেষক ও লেখক। তিনি বাংলা একাডেমির একজন ফেলো। তিনি বর্তমানে নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কর্মজীবনে আবদুল জলিল বাংলা একাডেমিতে কাজ করেন। পরবর্তীতে রাবির বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করেন। এরপর একই প্রতিষ্ঠানে ফোকলোর, বাংলা, নাট্যকলা বিভাগে অধ্যাপনা ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
পুরস্কার পাবার পর অনুভূতি জানতে চাইলে ড. আবদুল খালেক বলেন, এটি খুবই আনন্দের খবর। খুব ভালো লাগছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই ধরনের সম্মাননা আমার দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই গৌরবের বলে করছি।