বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঝুঁকিতে দ. আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগ

স্পোর্টস ডেস্ক: মাঠে গড়ানোর আগে ভিন্ন এক চ্যালেঞ্জের মুখে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ‘এসএ টি-টোয়েন্টি।’ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখে পড়তে পারে টুর্নামেন্টটি! তাই ছয়টি স্টেডিয়ামকে টুর্নামেন্ট চলাকালীন আলোর জন্য জাতীয় পাওয়ার ইউটিলিটি থেকে স্বাধীন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
২০২২ সালে সবচেয়ে বাজে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মধ্য দিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছর দেশটিতে ২০০ দিনের বেশি সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এই বছরে তা আরও খারাপ হতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে। বর্তমানে দেশটি তাদের লোডশেডিংয়ের আটটি স্তরের দ্বিতীয় স্তরে আছে। এই সময়ে বিভিন্ন এলাকায় দিনে আড়াই ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকে না। গত ডিসেম্বরে পরিস্থিতি আরও খারাপ ছিল। লোডশেডিংয়ের ষষ্ঠ স্তরের ওই সময়ে কিছু এলাকা দিনে ১১ ঘন্টাও বিদ্যুৎহীন ছিল। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) ঘরোয়া দিবা-রাত্রির কিছু ম্যাচ দিনে নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল।
এসএ টি-টোয়েন্টির ছয়টি দলই আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানাধীন। টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলি সারা বিশ্বে টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হবে। ম্যাচ শুরু হবে স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টা ও বিকেল সাড়ে পাঁচটায়। ম্যাচ শুরুর সময় পরিবর্তন করা হবে না। যেকোনো সম্ভাব্য সমস্যা এড়াতে টুর্নামেন্টের স্টেডিয়ামগুলিকে ফ্লাডলাইট, ড্রেসিংরুম, বাথরুমসহ গ্যালারি ও মাঠের চারপাশে আলো জ্বালানোর জন্য জেনারেটর ভাড়া করতে হবে।
প্রাথমিক পর্বে প্রতিটি দল ঘরের মাঠে খেলবে পাঁচটি করে ম্যাচ। এজন্য জেনারেটর ভাড়া নিতে প্রতিটি স্টেডিয়ামের জন্য খরচ হতে পারে ১ লাখ ১৭ হাজার মার্কিন ডলার। যা দিতে হবে তাদের ম্যাচ আয়োজনের ফি থেকে।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একেকটি ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রতিটি স্টেডিয়ামকে দেওয়া হবে আনুমানিক ৫০ হাজার ডলার। অন্যান্য খরচের জন্য দেওয়া হবে বাড়তি ১৩ হাজার ডলার। বেশিরভাগ ভেন্যুই এই অর্থের মধ্যে বিদ্যুৎসহ তাদের লজিস্টিক খরচ মেটাতে পারবে।
মাঠের আকারের কারণে শুধুমাত্র জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে খরচ কিছুটা বেশি হবে। যা টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ নিজেরাই পরিশোধ করবে। অন্য স্টেডিয়ামেগুলির খরচ কম হবে। এর মধ্যে থেকে লাভের আশাও করা হচ্ছে। টুর্নামেন্টের শেয়ারহোল্ডার দক্ষিণ আফ্রিকান বোর্ড বিশ্বজুড়ে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি ও স্পনসরশিপ থেকে প্রথম বছর থেকে আয় করবে। তবে লাভজনক লিগে পরিণত করতে পাঁচ বছর লেগে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩ | সময়: ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ