সর্বশেষ সংবাদ :

বিশাল শোডাউনে শক্তি জানান দিলেন বিএনপি নেতা

নুরুজ্জামান,বাঘা :

আগামী ২৯ ডিসেম্বর বাঘা পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিশাল মোটরসাইকের শোডাউন দিয়ে শক্তি জানান দিয়েছেন পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন। রবিবার (২৫- ডিসেম্বর) বিকেলে বাঘা ঈদগাহ মাঠ থেকে একটি সু-বিশাল র‌্যালী পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও পাড়া-মহল্লা ঘুরে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছে সাধারণ ভোটারদের মন ।

 

 

সরেজমিন লক্ষ করা গেছে, বিকেল ৩ টার সময় বাঘা উপজেলার ঐতিহাসিক ঈদগাহ মাঠে দাড়িয়ে রয়েছে প্রায় এক হাজার মোটর সাইকেল। এসব মোটর সাইকেলের সামনে বাঁধা রয়েছে বাঘা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেনের নির্বাচিত প্রতীক কম্পিউটারের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন। আর প্রতিটা হোন্ডায় রয়েছে চালক সহ এক-দু’জন মোটরসাইকেল আরোহী। তাদের প্রত্যেকের মুখে একটিই স্লোগান-“ভোট দিবেন কোন খানে, কম্পিউটারের মাঝ খানে, হবে-হবে হবে জয়, কম্পিউটার মার্কার হবে জয়’’।

 

 

দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এই মোটর সাইকেল শোডাউনটি বাঘা পৌর এলাকার ৬ এবং ৭ নং ওয়াডের রাস্তা দিয়ে যাত্রা শুরু করে। এরপর পৌর সভার সকল ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লার রাস্তা প্রদক্ষিন করে বাঘা বাজারে এসে একটি পথ সভায় মিলিত হবে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন প্রার্থী কামাল হোসেন-সহ উপজেলা এবং পৌর বিএনপির নেত্রীবৃন্দ।

 

 

এদিকে রবিবার মোটর সাইকেল শোডাউনের পাঁচদিন পূর্বে পায়ে হেটে একটি প্রচার মিছিল বের করে সতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন। ঐদিন তাঁর মিছিলটি আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আক্কাছ আলীর দুর্গ হিসাবে পরিচিত পাকুড়িয়া বাজারে গিয়ে পথ সভায় মিলিত হয়।

 

 

সেই সভায় বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রভাষক জাহাঙ্গীর হোসেন ও তিন-তিনবার নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্র থেকে তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করা পর্যন্ত এই সরকার আমলে নির্বাচনে অংশ নিতে নিষেধ রয়েছে। তার পরেও পৌরসভা থেকে কাঙ্খিত উন্নয়ন পেতে আমরা কামাল হোসেনকে ভোটে দাঁড় করিয়েছি। তাঁরা বলেন, কামাল হোসেন একজন তরুণ, সৎ এবং যোগ্য নেতা। পৌর এলাকায় উন্নয়ন পেতে হলে তাঁকে ভোট দিতে হবে।

 

 

বাঘা পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন  স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি কোন নেতার বিরুদ্ধে গীবত গাইতে চাইনা। আমি শতভাগ আশাবাদি , এবার যেহেতু আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী সহ তাদের প্রতিপক্ষ হিসাবে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে এ দিক থেকে বিএনপির লোকজন সবাই আমাকে ভোট দিবে এবং আমি মেয়র নির্বাচিত হবো। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে সকল অনিয়ম-দুর্ণীতির অবসান ঘটিয়ে বাঘা পৌর সভাকে একটি মডেল পেীরসভায় রুপ দিবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

তার সাথে উপস্তিত ছিলেন বাঘা উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী মলিন, বাঘা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তফিকুল ইসলাম তফি, বাজুবাঘা ইউপি চেয়ারম্যান ও বাজুবাঘা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফিরোজ আহাম্মেদ রঞ্জু, উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পলাশ, বাঘা পৌর বিএনপি নেতা সুরুজ জামান, আব্দুল লতিব, গড়গড়ি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা টিপু সুলতান, বাঘা পৌর যুবদলের সাবেক আহবায়ক সালে আহাম্মেদ ও বিএনপি নেতা মাসুদ হোসেন সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ।

সানশাইন/তারেক


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৫, ২০২২ | সময়: ৬:২৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine