রাবি ছাত্রদের ভাংচুরে রামেক হাসপাতালের ক্ষতি ৩৯ লাখ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী কেজিএম শাহরিয়ারের মৃত্যুর পর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় ৩৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করেছে। হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীর কাছে ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল পরিচালত শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি হিসাব-নিকাশ করে বলেছে ভাঙচুরের ক্ষতি ৩৯ লাখ টাকা। আর হাসপাতালে আনার আগেই শাহরিয়ারের মৃত্যু হয়েছিল। তাই তার চিকিৎসায় অবহেলা হয়নি। তদন্ত কমিটি কিছু সুপারিশও করেছে। সেগুলো বাস্তবায়ন কীভাবে করা যায় তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ সদস্যের ওই তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন হাসপাতালের নিউরোমেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন। কমিটি শিক্ষার্থী শাহরিয়ারের মৃত্যুর ‘প্রকৃত’ কারণ জানতে মরদেহ কবর তুলে ময়নাতদন্ত করারও সুপারিশ করেছে।
তবে হাসপাতালের তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন তো আমি দেখিনি। তাই এটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করছি না।
ঘটনার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। এই কমিটি এখনও তদন্ত শেষ করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে রাবির হবিবুর রহমান হলের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তাকে রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠান। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এ সময় চিকিৎসায় অবহেলা এবং আইসিইউ বেড না দেওয়ার অভিযোগ তোলেন রাবি শিক্ষার্থীরা। তখন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে তাদের মারামারি হয়। পরে হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করে রাবির শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে রাবি এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। পুলিশ মামলা দুটি তদন্ত করছে।


প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২২ | সময়: ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ