রাজশাহীতে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দম্পতিকে ফেলে দেয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে এক দম্পতিকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ট্রাফিক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরীর সিএনবি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই দম্পতি রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, নগরীর শিরোইল শান্তিবাগ এলাকার রফিকুল ইসলাম রাজ তার স্ত্রী রশিদাকে নিয়ে শুক্রবার বিকেলে মোটরসাইকেলে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। সন্ধ্যার পর তারা সিএন্ডবি মোড় হয়ে ফিরছিলেন। সেখানে ব্যস্ততম এই সড়কে ট্রাফিক পুলিশ তাদের থামার জন্য সিগন্যাল দেয়। কিন্তু তারা মোটরসাইকেল না থামিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান।
তবে রশিদার অভিযোগ, একজন পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল চলন্ত অবস্থায় তার হাত ধরে টান দেয়ায় তারা সড়কের ছিটকে পড়ে আহত হন। এতে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর কয়েকজন পুলিশ সদস্য এবং দাযিত্বরত সার্জেন্ট তাদের মোটরসাইকেলটি জব্দ করেন। যানবাহন আটকের একটি রশিদ ধরিয়ে দেয়া হয় আহত রাজকে।
রাজের অভিযোগ, তার ওই মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ছিল। তবে তার মাথায় হেলমেট ছিল না। তাই বলে কোনো পুলিশ সদস্য এভাবে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে কাউকে টান দিয়ে ফেলে দিতে পারেন না। এ সময় রাস্তায় পড়ে থাকা রাজ দম্পতিকে উদ্ধারে এগিয়ে আসা পথচারীরা ওই কনস্টেবলের ওপর চড়াও হলে কর্তব্যরত সার্জেন্ট সাবিহা সুলতানা ওই কনস্টেবলকে ঘটনাস্থল থেকে কৌশলে সরিয়ে দেন।
রাজ আরো বলেন, ঘটনার পর রাস্তায় পড়ে গিয়ে আমি কী করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। রাস্তায় পড়ে আমার এবং আমার স্ত্রীর হাত পা এবং মাথায় আঘাত লেগেছে এবং ছিলে গেছে। পরে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিই।
তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট সাবিহা সুলতানা বলেন, চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ওই দম্পতিকে কেউ টান দিয়ে ফেলে দেয়নি। মোটরসাইকেল চালানো অবস্থায় ওই দম্পতির মাথায় হেলমেট ছিল না। তারা পুলিশ চেকপোস্ট দেখে পালাবার সময় নিজেরাই পড়ে আহত হয়েছেন। এ সময় আমার শরীরে থাকা বডি ওন ক্যামেরা চালু ছিল। বডি ওন ক্যামেরা এবং পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলেই পুরো বিষয়টা ধরা পড়বে।


প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২ | সময়: ৬:১০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর