রাজশাহী অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেলেন যারা

স্টাফ রিপোর্টার : কৃষিতে অবদানের জন্য এ বছর রাজশাহী অঞ্চলের বেশ কয়েকজন পেয়ছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার। এরমধ্যে রাজশাহীর পবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম স্বর্ণ পদক পেয়েছেন। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি/উদ্ভাবন/ব্যবহার ক্যাটাগরিতে তিনি এ পুরস্কার অর্জন করেন।
দেশের কৃষিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৪২৫ ও ১৪২৬ বঙ্গাব্দের জন্য মোট ৪৪ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন। বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২৫ ও ১৪২৬ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী ড. মো.আব্দুর রাজ্জাক এম.পি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এম.পি, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.সায়েদুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যসহ পদকপ্রাপ্তগণের সাফল্যগাঁথা সংক্ষিপ্ত আকারে পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দ, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। তাছাড়াও অন্যান্য কৃষিবিজ্ঞানী ও কৃষিবিদগণ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায় কৃষি গবেষণা, সম্প্রসারণ, সমবায় উদ্বুদ্ধকরণ, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, নারীদের অবদান, বাণিজ্যিক খামার, বনায়ন, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন এবং মাছ চাষের মত ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রতিবছর এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
পলাশ: এদিকে বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির গাছের বাগান গড়ে কৃষিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেলেন যুবক মাহবুবুল ইসলাম (পলাশ)। পলাশ সিরাজগঞ্জের মারখন্দের বাসিন্দা।
বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালী অংশ নিয়ে পুরস্কার প্রদান করেন। কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাক।

কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণ, সমবায়, প্রেরণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বাণিজ্যিক চাষ, বনায়ন, পশুপালন ও হাঁস-মুরগী ও মাছ চাষের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য দেশের মোট ৪৪ জনকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
মোমরেজ : বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি জানান, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার সদ্য বিদায়ী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোমরেজ আলী। কৃষিতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে ব্রোঞ্চ পদকে ভূষিত হন তিনি। বুধবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাকে এই সম্মাননা পুরস্কার দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন। কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী।

কৃষকদের বানিজ্যিক কৃষিতে উদ্বুদ্ধ করে তাদেরকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে এবং পেয়ারা, মাল্টা, ফুল, কমলা, অসময়ের আম, কাশ্মীরি কুল, হাজারি লাউ, বারি লেবু-৩, নিরাপদ বেগুন চাষের ফলে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান ও জনগনের পুষ্টির জোগানে অবদান রাখায় এই পদক প্রদান করা হয়েছে বলে জানান কৃষিবিদ মোমরেজ আলী।
অনুষ্ঠানে ১৪২৫ ও ১৪২৬ এই দুই সনের ১০টি ক্যাটাগরিতে মোট ৪৪ জনকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পুরস্কারের স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্চ পদক দেওয়া হয়। ২৯ তম বিসিএসের কর্মকর্তা মোমরেজ আলী বাগাতিপাড়া থেকে বিদায় নিয়ে গত ৬ অক্টোবর নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছেন। তিনি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার খলিলপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান ও হানিফা বেগম দম্পতির ছেলে।


প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২২ | সময়: ৬:২২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ