সর্বশেষ সংবাদ :

বিভিন্ন ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে মীর ইকবালের মতবিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল-এঁর কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে শনিবার একটি রেস্তোরায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারবৃন্দের সাথে মতিবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। বাগমারা উপজেলার ঝিকরা, হামিরকুৎসা, যোগিপাড়া, গোয়ালকান্দি, মাড়িয়া ও বড়বিহানলী ইউনিয়ন পরিষদে এবং মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি, জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে, দূর্গাপুর পৌরসভা ও মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এবং ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বলেন, আমি আমার জীবনের রাজনীতি ছাড়া অন্য কিছুই করেনি। আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে আমার উপর অনেক ভয় ভীতি, লোভ-লালসার প্রলোভন এসেছিল কিন্তু কোনকিছুই আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি। আমি সবসময় আপনাদের সাথে থেকে রাজনীতি করে গেছি, জীবনের বাকি সময়টুকু আপনাদের পাশে থেকে কাজ করে যেতে চাই।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেয়ায় আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আপনাদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তার সম্মান ধরে রাখতে পারি সেজন্য সবসময় আপনাদেরকে আমার পাশে চাই।
তিনি আরো বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে একটি কুচক্রী মহল নানারকম ষড়যন্ত্র ও নোংরা খেলায় মেতেছে। তারা হয়তো জানেনা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছি, কোন ভয়-ভীতি ষড়যন্ত্র আমাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি, আগামীতেও পারবেনা। বক্তব্যের একপর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আমি আমার বাবা চাচা সহ ১৩ জন স্বজনকে হারিয়েছি তাদের লাশ পর্যন্ত পাইনি। অন্য সকলের মতো আমি আমার বাবার কবরে দোয়া ও শ্রদ্ধা জানাতে পারিনা।
তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে কেউ অসম্মানিত হবেন না। একজন মানুষ হিসেবে মানুষকে কিভাবে সম্মান করতে হয় আমি জানি। আপনাদের জন্য জেলা পরিষদের দুয়ার সর্বদা খোলা থাকবে। মানুষ হিসেবে আমি কখনওই ভুলের উর্দ্ধে না। চলার পথে কোন ভুল হলে আপনারা সুপরামর্শ দিয়ে আমাকে সহযোগীতা করবেন, আমি আপনাদের সাথে নিয়ে পরিষদের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
এসময় ঝিকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, হামিরকুৎসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, যোগিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এফ মাজেদুল ইসলাম সোহাগ, গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন, মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রেজাউল হক, বড়বিহানলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুর রহমান, রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল হোসেন, জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হযরত আলী, দূর্গাপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র একরাম আলী, ঝালুকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আকতার আলী।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এন্তাজুল হক বাবু, সাদরুল ইসলাম, কমরেড আশরাফুল হক তোতা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ এস. এম একরামুল হক, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলফোর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার সরকার, মহানগর ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রমানিক দেবু, মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, দূর্গাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম সারওয়ার, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জেডু সরকার, তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম আজাদ, কেশরহাট পৌরসভার মেয়র শহীদুজ্জামান শহীদ, দূর্গাপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মোতালেব, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজাহার আলী,
ঝালুকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, কাটাখালী পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর (৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) আয়েশা আক্তার, মোহনপুর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মোঃ একরামুল হক বিজয়, মোহনপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি রুস্তম আলী প্রামানিক, দূর্গাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরিফ, রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ মামুনুর রশিদ, আফসার উদ্দিন, পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার (১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) রাশেদা বেগম, গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ আনিছার রহমান, জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বার মোঃ আব্দুস সামাদ, মাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট, হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার (৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড) রুপালি পারভীন, হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার (১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ড) সাজেদা বেগম, রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদ সংরক্ষিত (৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড) মহিলা মেম্বার মোসাঃ মরিয়ম বেগম, ও জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ সংরক্ষিত ৭,৮ ও ৯ মহিলা মেম্বার মোসাঃ জান্নাতুল খাতুন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ. কে. এম. আসাদুজ্জামান, আলফোর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মকিদুজ্জামান জুরাত, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, সদস্য আলিমুল হাসান সজল রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আব্দুল মতিন, মনির উদ্দিন পান্না, রাজশাহী জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড বিমল চন্দ্র, জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আযম সেন্টু, মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মোঃ শাহিনুর রহমান শাহিন।


প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২২ | সময়: ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ