তানোরে মীর ইকবালের পক্ষে মতবিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: আসন্ন রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল-এঁর কাপ-পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার লক্ষে সোমবার তানোর উপজেলার বিভিন্ন পৌরসভা ও ইউপিতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে তানোর ও মুন্ডুমালা পৌরসভা, কলমা, বাধাইর, পাঁচন্দর, সরনজাই, তালন্দ, কামারগাঁ ও চাঁন্দুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে, পবা উপজেলার হুজুরিপাড়া, দর্শনপাড়া, হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদে ও মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদে, বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে, বাগমারা উপজেলার দীপপুর, ঝিকড়া ও বড়বিহানালী ইউনিয়ন পরিষদে এবং পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের নেতৃবৃনন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র চলমান উন্নয়ন কর্মসূচী এগিয়ে নিয়ে যেতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা মনোনীত রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবালকে কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করাই আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, পৌরসভার মেয়রবৃন্দ, ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দের সাথে আলোচনা করে জেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালিত করার মাধ্যমে রাজশাহী জেলা পরিষদকে দায়িত্বশীল, সেবামূলক ও গতিশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি বিজয়ী হলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, পৌরসভার মেয়রবৃন্দ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাবৃন্দ প্রশাসনিক ও ব্যক্তিগত কোন কাজে রাজশাহী নগরীতে আসলে তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা করবে।
মতবিনিময় সভাগুলোতে সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র সাইদুর রহমান, কলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী, বাধাইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, সরনজাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক খাঁন, তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু, কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি ফরহাদ, চাঁন্দুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান, হুজুরিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, দর্শনপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাদৎ হোসেন রাজিব, হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম বাচ্চু, মৌগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন বিশ্বাস, মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দীপপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিকাশ চন্দ্র ভৌমিক, ঝিকড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, বড়বিহানালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমাদুর রহমান মিলন, ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাকবীর হোসেন।
বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমানুল ইসলাম দুদু, জাকিরুল ইসলাম সান্টু, যুগ্ম সম্পাদক ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাবলু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহসানুল হক পিন্টু, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ. কে. এম আসাদুজ্জামান, এ্যাড মোঃ আব্দুস সামাদ, আলফোর রহমান, বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্রনাথ সরকার, তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশীদ ময়না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, উপ-দপ্তর সম্পাদক পংকজ দে, উপ-প্রচার সম্পাদক সিদ্দিক আলম, সদস্য নফিকুল ইসলাম সেন্টু, খায়রুল বাশার শাহীন, আলিমুল হাসান সজল, রাজশাহী জেলা যুবলীগ সভাপতি আবু সালেহ, রাজশাহী মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার, তানোর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সোনিয়া সরদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বদি, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, রাজশাহী মহানগর ২৬ (পশ্চিম) নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের, আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার হোসেন মুক্তা, সাবেক ছাত্রনেতা আলিমুজ্জামান বকুল, যুবনেতা মনিরুজ্জামান মনির, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুলতানুর আরেফিন প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তানোর পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিকে এই নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় সমর্থনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় সরগরম হয়ে ওঠেছে গোটা উপজেলা। বিভিন্ন ইউনিয়নের নির্বাচিত প্রতিনিধি ভোটারদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছেন মীর ইকবাল। মীর ইকবালের প্রচারনায় উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপজেলাব্যাপি ব্যাপক গণসংযোগ শুরু করেছেন।
এর আগে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মীর ইকবালের সমর্থনে দুইদফা আলোচনা ও মতবিনিয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সকল ভোটারদের একত্রিত করে ভোট প্রার্থনা করা হয়।
এছাড়া মীর ইকবালের পক্ষে ব্যাপক প্রচারনা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলহাজ্ব এ্যাড. জাকিরুল ইসলাম সান্টু। তিনি সপ্তাহ ব্যাপি মীর ইকবালের পক্ষে গোটা উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌর এলাকার ভোটার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে ব্যাপক গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত রবিবার দিনব্যাপি সান্টু উপজেলা গনিপুর, বাসুপাড়া, মাড়িয়া, হামিরকুৎসা ও যোগিপাড়া এলাকায় গণসংযোগ ও মতবিনিময় সভা করেন। পরে ওই দিন বিকেলে সান্টু কাচারীকোয়ালীপাড়া ইউপি কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। একই ধারাবাহিকতায় সান্টু গতকাল সোমবার উপজেলার ঝিকরা ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে মীর ইকবালের পক্ষে আরো একটি মতবিনিময় সভা করে ভোটারদের কাছে কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বে করেন। ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, মীর ইকবাল আমাদের দলীয় প্রার্থী। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। নেত্রীর হাতকে শক্তিশালি করতে ইকবাল ভাইকে বিজয়ী করতে হবে। উপজেলা আওয়ামীলীগের বষীয়ান নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, জাতির সূর্য সন্তান এই বীর মুক্তিযোদ্ধারা। আগামীর বাংলাদেশ যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে যেতে পারে এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা একজন মুক্তিযোদ্ধাকে রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। এখন আমাদের দায়িত্ব তাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করা। এ্যাড, জাকিরুল ইসলাম সান্টু জানান, শেখ হাসিনা আমাদের আস্থার প্রতীক, বিশ্বাসের প্রতীক উন্নয়নের প্রতীক এবং শেষ ভরসার স্থল। তাই নেত্রীর কথাই আমরা মীর ইকবালকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মহান আল্লাহ আমাদের সাথে রয়েছেন। ইনশাআল্লাহ আগামী ১৭ আক্টোবর আমাদের বিজয় হবে।


প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২২ | সময়: ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ