বাঘায় চাচার ছুরিকাঘাতে আহত ভাতিজা, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু

নুরুজ্জামান,বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় চাচা আবদুর রশিদের ছুরিকাঘাতে আহত ভাতিজা শহিদ হোসেন ঘটনার ৬ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। শুক্রবার বাদ এশা আড়ানী ঈদগাহ ময়দানে জানাযা শেষে আড়ানী কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার আড়ানী দিয়াড়পাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে শহিদ হোসেন ১৭ সেপ্টেম্বর নিজস্ব ভ্যানে যোগে যাত্রী নিয়ে আড়ানী সি.এন.জি ষ্ট্যান্ডে নামিয়ে দেন। এরপর তিনি আড়ানী তেঁতুল তলায় পৌঁছালে পেছন থেকে তার আপন ছোট চাচা চকসিংগা গ্রামের আজাহার হোসেনের ছেলে আবদুর রশিদ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। ঘটনার এক পর্যায় শহিদ হোসেন ভ্যান থেকে মাটিতে লুটে পড়ে। এ সময় চাচা আবদুর রশিদকে স্থানীয় লোকজন আটক করে একটি ঘরের খুঁটির সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

এদিকে ঘটনার ৬ দিন পর রামেক হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টায় শহিদ হোসেন মৃত্যু বরণ করেন। শুক্রবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তাকে নিজ বাড়িতে আনা হয়। এরপর বাদ এশা আড়ানী ঈদগাহ ময়দানে জানাযা শেষে আড়ানী কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এ বিষয়ে শহিদের পিতা শহিদুল ইসলাম জানান, আমার ছোট ভাই আব্দুর রশিদ চুরি, রোড রোভারিং এবং মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত ছিল। তার নামে বাঘা এবং পুঠিয়া থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তাকে মাঝে মধ্যেই পুলিশ ধরতে আসতো। এর আগে সে কয়েকবার আটকও হয়েছে। শহিদের ধারনা , আমি কিংবা আমার ছেলে পুলিশকে তথ্য দেই। এই রাগে সে গত শনিবার প্রকাশ্য দিবালকে আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি ভাবে ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর আহত করে। তিনি এই ঘটনার সাথে উসকানিদাতা হিসাবে কয়েকজন ব্যাক্তি জড়িত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী বলেন, আবদুর রশিদ অত্র এলাকার একজন অত্যাচারী ব্যক্তি। সে নিজে মাদক সেবন করা সহ বিক্রী করতো। পাশা-পাশি চুরির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। তাকে বারবার এসব কর্মকান্ড থেকে সরে আসার জন্য বলেছি, কিন্তু সে কথা শুনেনি। এখন সে জেল হাজতে অবস্থান করছে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ছুরিকাঘাতের বিষয়টি অত্যান্ত দু:খ জনক। আপন চাচা হয়ে এ ধরনের ঘটনা একে বারেই নজির। আমরা খবর পাওয়া মাত্র তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। ঘটনার দিন আহত শহিদকে নিয়ে তার পিতা রামেক হাসপাতালে অবস্থান করায় তার মা’ বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ | সময়: ৯:৫৬ অপরাহ্ণ | সানশাইন