বাঘায় আইন শৃংখলা বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত

গ্রামের চায়ের দোকান গুলো এখন সিনেমা হল !
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইন শৃংখলা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন, চোরাচালান প্রতিরোধ ও নাশকতা প্রতিরোধ বিষয় নিয়ে পৃথক চারটি মাসিক সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২-সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তরা বলেন, সরকার শিক্ষাখাতে জাতীয় ভাবে বাজেট বাড়ালেও শিক্ষকরা নিজ-নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখায় মনোযোগী করতে পারছেনা কিংবা ক্লাসে ধরে রাখতে পারছে না। তারা আসক্ত হচ্ছে কোচিং ,প্রাইভেট এবং ভিডিও গেম খেলা সহ পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠা চায়ের দোকানের আড্ডায়। কারন ঐ সকল দোকানে এখন হরহামাশেই চলছে সাউন্ডবক্স-সহ টি.ভি । আর তাতে প্রচার করা হচ্ছে অশালীন নাচ-গান এবং যাত্রা-সিনেমা।

সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এড: লায়েব উদ্দিন লাভলু। এ ছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) জুয়েল আহাম্মেদ, আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, মজাহার হোসেন মহিলা ডিগ্রী কলেজর অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন, বাঘা শাহদৌল্লা সরকারী কলেজের প্রভাষক আবু বক্কর সিদ্দিক,বাঘা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মোকাদ্দেস, বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল করিম, বিজিবি কর্মকর্তা, মনিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কাশেম ওবাইদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা , আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মিলন কুমার দাস ও বাঘা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান, সকল ইউপি চেয়ারম্যান, শিক্ষক মন্ডলী, উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে উপজেলা আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো নিয়ম মাফিক চলছেনা। মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান গুলো সকাল ১০ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত চালু রাখার নির্দেশ থাকলেও সে নির্দেশ উপেক্ষিত হচ্ছে। তবে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে , করোনা পরবর্তী সময় থেকে শিক্ষার্থীরা কোচিং , প্রাইভেট এর উপরে বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় তাঁরা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধরে রাখতে পারছেন না।

অপর দিকে বিনোদনের অন্যতম উৎস্য সিনেমা হল গুলো এখন প্রায় বন্ধ পর্যায় চলে গেলেও পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন মোড়ে-মোড়ে গজে উঠেছে একাধিক চায়ের দোকান। আর সেই দোকান গুলোতে সকাল থেকে গভির রাত পর্যন্ত চলছে টিভি। আর তাতে কার্ড রিডার, পেন ডাইপ এবং স্থানীয় ক্যাবল নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে চলছে অশ্লীল নিত্য এবং সিনেমা সহ যাত্রাপালা। আবার কোন কোন দোকানে পেছনে রয়েছে ক্যারাম খেলার ব্যবস্থা।

বক্তারা পৃথক চারটি সভায়, মাদক, সুদের ব্যবসা, হাট এবং খেয়াঘাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, গণহারে যে কোন বিষয় নিয়ে মাইকিং, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ, দ্রব্য মুল্যের বাজার মনিটরিং , যানজট নিরসন, শিক্ষার্থীদের ভিডিও গেমে আসক্ত, ইমো-বিকাশ হ্যাকিং, মিষ্টির দোকান মনিটরিং, কিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন, বিভিন্ন রাস্তার পাশে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা,নকল প্রশাধনী জব্দ সহ রাস্তার ধারের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মুদি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রোল বিক্রীর বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২ | সময়: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ | সানশাইন

আরও খবর