সর্বশেষ সংবাদ :

বাঘায় অদম্য এক মেধাবী ছাত্রের দায়িত্ব নিলেন ডা: মিঠুন

নুরুজ্জামান,বাঘা : পৃথিবীতে কেউ সাফল্যের চামচ নিয়ে জন্মলাভ করে না। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সবকিছু অর্জন করতে হয়। প্রবাদ আছে, ‘পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি’। পরিশ্রমের দ্বারা ভাগ্যের চাবিকাঠি এমনভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব, যা অলস মানুষের কাছে অলৌকিক বলে মনে হবে। যে কোনো ক্ষেত্রে সফলতার প্রথম শর্ত হল প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রম। তাদের একজন গরিব ঘরের আলোক বাতি বিদ্যুৎ কুমার দাস। তার বাড়ী বাঘা উপজেলার আড়ানী গ্রামে।

সে এ বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিষয়ে ১৯ তম স্থান অর্জন করেছে। কিন্তু দারিদ্র্যতার কারণে ভর্তি এবং পড়া-লেখার বিষয় নিয়ে চরর উৎকন্ঠায় ছিলেন তার মা-বাবা । অবশেষে তাকে চিন্তামুক্ত করেছেন বাঘার আরেক কৃষি সন্তান মুঞ্জু হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ডাঃ মিঠুন কুমার।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুত ছোট বেলা থেকে লেখা-পড়ায় বেশ ভালো ফলাফল অর্জন করে চলেছে। তারা অত্যান্ত দরিদ্র মানুষ। সংসারে এক মাত্র আয়ের উৎস্য তার বড় ভাই । তাঁর সার্বিক সহযোগিতায় ছোট ভাই বিদ্যুৎ এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় জি.পি.এ গোল্ডেন পেয়ে নিজের পরিবার সহ গ্রাম বাসীর মুখ উজ্জল করেছে। সম্প্রতি তাকে নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশ হলে বিষয়টি অনেকের নজরে আসে। এর তার পাশে দাড়ায় ডাঃ মিঠুন । তিনি তার ভর্তির ব্যবস্থা সহ পড়া-লেখার দায়িত্ব নিয়েছেন।

ডাঃ মিঠুন কুমার বলেন, আমি সব সময় মানুষের পাশে থাকতে চাই । মানুষের উপকারে আসতে চাই। মানুষ যদি তার লক্ষ্যে অটুট থাকে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে, তবে একদিন সে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছতে পারে। আমাদের চারপাশে অনেক প্রতিভাবান ব্যক্তিকে দেখতে পাই। পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক সফল ব্যক্তির নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। যুগে যুগে, কালে কালে যারা স্মরণীয় ও বরণীয় হয়েছেন, প্রকৃতপক্ষে তাদের সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে আছে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়।

তিনি বলেন মানুষ মানুষের জন্য । আমি কঠর ভাবে আশাবাদী, একদিন মানুষ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সবার উপকারে আসবে। একদিন এই বিদ্যুৎ তার বুদ্ধিমত্তা ও সৃজনী শক্তির মাধ্যমে পারদর্শী হয়ে শুধু নিজের ব্যক্তিগত জীবনেই নয়, জাতি ও দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় ব্যাপক ভুমিকা রাখবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন, আমি প্রথমে আমার দাদাকে ধন্যবাদ জানান। কারণ তিনি অনেক কষ্ট করে আমাকে পড়া-লেখা করিয়েছেন। এরপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি,বাঘা মুঞ্জু হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকে ডা. মিঠুন কুমার দাদাকে। তিনি যেনো সারা জীবন এমনি ভাবে মানুষের পাশে দাড়াতে পারেন।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২ | সময়: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সানশাইন