ছয় মারতে খুবই ভালো লাগে

স্পোর্টস ডেস্ক: ছক্কা মারতে সব ব্যাটসম্যানেরই ভালো লাগার কথা। এনামুল হকেরও খুব পছন্দ তা। তবে সেই ভালো লাগার পরশ নিয়মিত তো পেতে হবে! এনামুল ও বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে সেটাই তো অনুপস্থিত। এই ওপেনারের যদিও দাবি, সামর্থ্যে কোনো ঘাটতি তাদের নেই। স্রেফ পরিকল্পনা ঠিকঠাক করতে পারলেই চার-ছয় আসবে নিয়মিত।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের অনেক দুর্বলতার একটি এই বড় শটে। ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের এই সংস্করণে নিয়মিত ছক্কা মারার মতো ব্যাটসম্যান দলে নেই একজনও। নানা সময়ে পেশির জোরের ঘাটতি নিয়ে কথা হয়েছে, স্কিল হিটিংয়ে জোর দেওয়ার আলোচনা হয়েছে। তবে সমাধান বের হয়নি। ছক্কার ঝড় তুলে খেলার মোড় বদলে দেওয়া বা একাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ার ব্যাটসম্যান একজনও পায়নি বাংলাদেশ।
এনামুল যদিও পাওয়ার হিটিংকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না। দুবাইয়ে অনুশীলনের ফাঁকে বিসিবির ভিডিও বার্তায় তিনি বললেন, চার-ছয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক বোলার ও সময়কে বেছে নেওয়া। “আমি প্রায় ১০ বছর বিপিএল খেলেছি, এছাড়াও বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছি। আমরা সবাই যে প্রতিভাবান ক্রিকেটার, যতটা পরিশ্রমী, আমার কাছে মনে হয় পরিকল্পনা জরুরি পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়ে। কেউই বলতে পারবে না যে সে চার বা ছয় মারতে পারে না কিংবা তার কোয়ালিটি নেই। যারা জাতীয় দলে আসে, অবশ্যই শতভাগ কোয়ালিটি দেখিয়েই বাংলাদেশ দলে আসতে হয়।”
“সবারই কোয়ালিটি আছে চার-ছক্কা মারার। ব্যাপারটা পরিকল্পনার যে কোন বোলারকে আমরা পিক করব (চার-ছক্কার জন্য), কোন বোলারকে সিঙ্গেল রোটেশন করব, কোন সময় মারা উচিত, কোন সময় উচিত নয়।” “আমার মনে হয়, সবারই কোয়ালিটি আছে। ওপর থেকে যদি ধরেন, দলে ৮টা-১০টা ব্যাটসম্যান আছে, সবাই কম-বেশি ভালো মারতে পারে। তাদের সবাইকে নিজস্ব সময় দেওয়া উচিত, ১০ বল, ৫ বল, ৪ বলৃ তার পর (পরিকল্পনার) প্রয়োগে যাওয়া উচিত। অবশ্যই প্রতিটি ক্রিকেটারের সামর্থ্য আছে ছয়-চার মারার।”
ঘাটতি যেখানে আছে, সেখানে রাতারাতি উন্নতির আশা দেখাচ্ছেন না এনামুল। তার বিশ্বাস, কয়েক মাসের মধ্যেই উন্নতিটা দৃশ্যমান হবে। “আমি চেষ্টা করি, অবশ্যই ছয় মারতে খুবই ভালো লাগে। বাস্তবায়ন কোন সময়ে করব, দলের জন্য কতটা উপকার হবে, এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ক্রিকেটারদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অবশ্যই উন্নতি সম্ভব। আমার মনে হয় এই কোচের কোচিংয়ে, সাকিব ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা যথেষ্ট উন্নতি করব পাওয়ার হিটিংয়ে।” “এটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার ব্যাপার। এটা একদিনে হবে না। তবে অবশ্যই ৩ মাসে হবে, ৬ মাসে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতিটি ক্রিকেটার শতভাগ চেষ্টা করবে এগুলোয় উন্নতি করার।”
এই দফায় জাতীয় দলে ফেরার পর ৬টি টি-টোয়েন্টি খেললেও এনামুল ভালো কিছু করতে পারেননি। ৬ ইনিংসে একটিতেও ৩০ ছুঁতে পারেননি, ছক্কা মেরেছেন মোটে ২টি। তবে এশিয়া কাপে নিজেকে প্রমাণ করতে চান ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। “এশিয়া কাপ একটা বড় মঞ্চ। এখানে সুযোগ এসেছে ভালো খেলার। আমি চেষ্টা করব প্রভাববিস্তারি ইনিংস উপহার দেওয়ার, যেন দলকে শুভ সূচনা এনে দিতে পারি।”


প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২২ | সময়: ৬:০২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর