এশিয়া কাপ অভিযানে দেশ ছাড়লেন সাকিবরা

স্পোর্টস ডেস্ক: এশিয়া কাপে অংশ নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বরাবরের মতোই বিমানবন্দরে উৎসুক মানুষের জটলা, নিরাপত্তাকর্মীদের ভীড়, সংবাদকর্মীদের ছুটোছুটি আর এসবের মধ্যেই ক্রিকেটারদের একে একে আগমণ। আরও একটি সফর, আরেকটি অভিযান। সংযুক্ত আরব আমিরাতে তাদের চ্যালেঞ্জ এবার এশিয়া কাপের।
এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসরে লড়তে মঙ্গলবার বিকেলে দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল। ভিসা জটিলতায় দলের সঙ্গে যেতে পারেননি ওপেনার এনামুল হক ও ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। বুধবার তাদের পাঠানো যাবে বলে আশা করছে বিসিবি। সোমবার দলে যুক্ত হওয়া মোহাম্মদ নাঈম শেখ আছেন আমিরাতেই। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলা শেষে ফেরার পথে তিনি রয়ে গেছেন দুবাইয়ে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতেই গত এশিয়া কাপে রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সেবারের আসর ছিল ওয়ানডে সংস্করণে। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপও ২০ ওভারের সংস্করণে। এই সংস্করণে দিনের পর দিন অন্ধকার সুড়ঙ্গে পথ হাতড়ে ফিরছে দল। আলোর রেখা মিলছে না মোটেও।
২০১৬ সালে দেশের মাঠে টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এশিয়া কাপেই ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। তবে এই সংস্করণে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি দল। গত বিশ্বকাপের মূল পর্ব থেকে দুঃসময়ের চক্রে থাকা দলের সাম্প্রতিক ফর্মও খুব বাজে।
মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর জন্য এবারের এশিয়া কাপ বড় চ্যালেঞ্জ নিজেদের প্রমাণের জন্য। ছবিতে তাদের সঙ্গী বিসিবির চিকিৎসক মনজুর হুসাইন চৌধুরী। ছবি: মনজুর হুসাইনের ফেইসবুক পাতা। এর মধ্যেই এশিয়া কাপের আগে হুট করে দলে এসেছে বড় পরিবর্তন। টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে ফেরানো হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। টি-টোয়েন্টি টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট করে আনা হয়েছে শ্রীধরন শ্রীরামকে। দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে এশিয়া কাপে পাঠানোই হয়নি। বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাকে দূরে রাখা হচ্ছে টি-টোয়েন্টির কোচিং থেকে।
সব মিলিয়ে প্রস্তুতি খুব আদর্শ নয়। সাকিবও তাই বড় কোনো স্বপ্ন দেখাননি। সফরপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সোমবার অধিনায়ক বলেন, বাস্তবতা ভাবনায় রেখেই তারা এশিয়া কাপে দলের লক্ষ্য ঠিক করেছেন। “(ফাইনাল খেলা) আমাদের জন্য কঠিন। বাস্তবিক চিন্তা করলে আমরা যদি এই দুইটা ম্যাচ (গ্রুপ পর্বে) ভালো খেলতে পারি এবং আগের যে সিরিজগুলো খেলেছি বা এক-দেড় বছরে যে সিরিজগুলো খেলেছি, সেখান থেকে উন্নতির ছাপ যদি রাখতে পারি, তাহলেও একটা প্রাপ্তি হবে এই টুর্নামেন্টে।”
“সুপার ফোর পর্বে খেলা উচিত আমাদের। তবে আমি যেটা মনে করি যে, আমরা প্রতিবারই বড় লক্ষ্য নিয়ে যাই, পরে পারি না। আপনারাই তখন বলা শুরু করেন, ‘বড় বড় কথা বলে গেলাম, কাজটা করতে পারলাম না।’ আমাদের লক্ষ্য আমাদের মধ্যেই থাক, ড্রেসিং রুমে আমরা জানি যে কী করতে হবে।”
বাংলাদেশের দুই গ্রুপ সঙ্গী শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামী শনিবার শুরু এশিয়া কাপ। বাংলাদেশের অভিযান শুরু আগামী মঙ্গলবার, শাজাহতে আফগানদের বিপক্ষে লড়াই দিয়ে। দুবাইয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ ১ সেপ্টেম্বর। গ্রুপের সেরা দুই দল উঠবে সুপার ফোর পর্বে। অন্য গ্রুপে ভারত ও পকিস্তানের সঙ্গে খেলবে বাছাই পেরিয়ে আসা দল। ওমানে এখন চলছে বাছাইপর্ব, যেটি শেষ হবে বুধবার।