সর্বশেষ সংবাদ :

বাজার মনিটরিং ও বিক্রেতাদের মাস্ক বিতরণ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের

স্টাফ রিপোর্টার : 
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাজশাহীর ইফতার বাজার মনিটরিং করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ ২০২৩) বেলা ১২ টা থেকে নগরীর সাহেব বাজার এলাকার বিভিন্ন মিষ্টির দোকান গুলোতে এই মনিটরিং করা হয়। এর মধ্যে নবরূপ দধি ও মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, রস মেলা, অপুর্ব দই ও মিষ্টি ভান্ডার, শামীম সুইটস্, রাজশাহী মিষ্টি ঘর, খেজুর বাজার, ইফতার দোকান। এছাড়াও বেকারি দোকানে বিশেষ মনিটরিং করেছে সংস্থাটি।

তবে, এই সকল প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ ব্যাবসায়ীরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার খোলা রাখা, উৎপাদন, বিপণন ও সরবারহ করার বিষয়ে নানান নির্দেশনা সহ সতর্কবার্তা প্রদান করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের রাজশাহী জেলা কর্মকর্তা মোঃ শাকিল আহম্মেদ।

 

 

 

এর সাথে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ও মালিকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ সম্পর্কে অবগত করেন। তিনি সকলকে মাস্ক, হেড ক্যাপ, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। যাদের মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হেড ক্যাপ ছিলনা তাদেরকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এসকল সরঞ্জাম বিনামূল্য বিতরণ করা হয়।

 

 

অন্যদিকে ধারাবাহিক বাজার মরিটরিংএ খুশি সাধারণ মানুষ। ক্রেতারা বলছে, এভাবে মনিটরিং করলে স্বাস্থ্য ঝুকি থেকে অনেকটায় রেহায় পাওয়া যাবে। তবে, তদের দাবি ভুয়া বা নকল পণ্যে ছেঁয়ে আছে বাজার। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেক দোকানে পণ্যের গায়ে কোন সীল বা লেবেল লাগানো থাকেনা। এগুলো কবে উৎপাদন আর মেয়াদ কতদিন কেউ জানেনা। বিশেষ করে মাঠা, ঘোল, বুরহানী, টক দই, মিষ্টি দই এগুলো খোলা বাজারে বিক্রি করছে। এগুলোর দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

 

 

বাজার মনিটরিং ও স্বাস্থ্য সচেতন নিয়ে কথা বললে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের রাজশাহী জেলা কর্মকর্তা শাকিল আহম্মেদ বলেন, আমরা মানুষরা একে অন্যকে ঠকাতে ব্যস্ত। শুধু তাই নয় আমাদের বেশির ভাগ মানুষ নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন নয়। তাই সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকার “বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ” নামের একটি আলাদা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। যেখানে উৎপাদিত খাদ্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত নিয়ে কাজ করা হচ্ছে

 

 

। দীর্ঘদিন থেকে রাজশাহীতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আজ আমরা মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতার বাজার ও দৈনন্দিন বাজার মনিটরিং করছি। আমরা আপাতত ব্যবসায়ীদের বোঝাচ্ছি ও বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি। এরপরও যদি তারা না শোনে আমরা জরিমানা করবো ও আইনগত ব্যবস্থা নিব।

 

 

আজকে কোন প্রতিষ্ঠানকে জারিমানা করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কাউকে জরিমানা করিনি। একটি দোকানের মাল জব্দ করেছি পরীক্ষার জন্য। জব্দকৃত পণ্যের গায়ে কোন কিছু লিখা নাই। এগুলো ভালো না খারাপ তা কেউ বুঝবে না। তাই আমরা সেগুলো জব্দ করেছি। আবার কিছু দোকানের মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ফেলে দিয়েছি। তবে এই দোকানদারকে এর আগেও নিষেধ করা হয়েছে। আমরা বেশ কিছু ইফতার দোকান মনিটরিং করেছি এবং তাদের ব্যবহৃত পোড়া তেল পরীক্ষা করেছি। অনেক দোকানে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেল পেয়েছি। তাদের এই পোড়া তেল ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এরপরও তারা যদি এর ব্যতয় করেন তাহলে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য আইন ১৩’র ধরা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

আমরা এভাবে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করবো। আমাদের সাথে যোগাযোগের জন্য ১৬১৫৫ হট লাইন নাম্বার দিয়ে দিচ্ছি কারন সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

সানশাইন / শামি

 


প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩ | সময়: ১০:২৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine