মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
সেলিম সানোয়ার পলাশ, গোদাগাড়ী: শ্রাবণ মাস শেয হতে চললেও ইলিশের ভরা মৌসুমে পদ্মায় দেখা নেই রুপালি ইলিশের। জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন এই পাঁচ মাস ইলিশের ভরা মৌসুম। ইলিশ ধরা না পরায় পদ্মা পাড়ের জেলে পরিবার অভাব অনটনে চরম হতাশার মধ্যে দিন পার করছে।
জানা যায়, পদ্মা নদীর ইলিশকে ঘিরেই পদ্মা পাড়ের জেলেদের জীবন ও জীবিকার চাকা ঘুরে। ইলিশের ভরা মৌসুম চললেও দেখা নেই রূপালি ইলিশের। এতে করে অভাব-অনটনে ঋণ করে চলছে জেলেদের সংসার। এনজিওর লোন আর মহাজনের দাদনের ভাবনাই যেন জেলেদের পরিবারে নেমে এসেছে চরম হতাশা।
বছরের এ ভরা মৌসুমে জেলেরা মহোৎসবে রূপালি ইলিশ ধরেন। পদ্মা পাড় এলাকায় থাকে ক্রয়-বিক্রয়ের সরগরম। কিন্তু বর্তমান চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত।
কথা হয় মাছের পাইকড়ি আনিকুলের সাথে, সে বলে প্রতি বছর এ সময় চলতো ইলিশ কেনার ধুম। কিন্তু এ বছর পদ্মায় ইলিশ ধরা না পড়ায় আমরা ইলিশ পাচ্ছিনা। তবে প্রথম দিকে ১টা ২টা ঝাটকা ইলিশ জেলেরা আনলেও এখন তাও নেই।
পদ্মা পাড়ের জেলেরা জানায়, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ইলিশ ধরার আশায় জাল কিনে ছিলেন ও তাদের মাছ ধরা নৌকা ঠিক করেছিলেন। পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরতে না পড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।
জেলেরা আরও জানান, এনজিও ও বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণ ইলিশ বিক্রির টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করবেন। কিন্তু ইলিশ ধরা না পড়ায় দেনাও শোধ করতে পারছেন না।
গোদাগাড়ী উপজেলার পদ্মা পাড়ের জেলে আসাদ জানান, এবার পদ্মায় ইলিশ মাছের দেখা মেলেনি। অন্য মাছ ধরে দৈনিক খরচের তুলনায় আয় না হওয়ায় পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এছাড়াও বিনিয়োগ করে লোকসান গুনছেন আড়ৎদার ও দাদন ব্যবসায়ীসহ এর সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা।