কী চান আপনারা, মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে হানিফ

সানশাইন ডেস্ক: মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দেওয়া বিবৃতির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, কী চান আপনারা? কার পক্ষে, কোন খেলায় নেমেছেন? শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘তাদের বক্তব্যগুলো সন্ত্রাসী, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পক্ষে নির্লজ্জ দালালি ছাড়া আর কিছু নয়। জাতি এসব বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি সমাবেশ করার পর ঢাকার প্রবেশমুখ অবরোধ করলো, গাড়ি চলাচল বন্ধ করলো। এরকম কর্মসূচি কোন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আছে? রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। সেজন্য হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে সরকার অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করছে।’
পশ্চিমারা কার পক্ষে ওকালতি করছেন, প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমানকে নিয়ে ২০০৮ সালের ৩ নভেম্বর একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়াটি। তাতে পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, তারেক রহমান ভয়ংকর, দুর্র্ধষ, দুর্নীতিপরায়ণ সন্ত্রাসী এবং সহিংসতার প্রতীক। এখন সেই ব্যক্তি এতো ভালো হয়ে গেল যে তাদের রাজনৈতিকভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে, তাদের নিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত করে সরকার উৎখাতের খেলায় মত্ত হতে হবে?’
বিদেশি সংগঠন ও বিদেশি দূতদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, ‘যারা আমাদের দেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন, উন্নয়ন সহযোগী দেশ হিসেবে অনেক বিষয়ে আপনাদের কথা বলার সুযোগ আছে। কিন্তু দয়া করে এ ধরনের একজন প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসী একটি দল নিয়ে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করবেন না। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে মদদ দেবেন না, এই অনুরোধ থাকবে।’
শেখ কামাল তারুণ্যের, যুব সমাজের অহংকার ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শেখ কামাল ছাত্রজীবন থেকেই বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য ২৬ বছর বয়সে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।’


প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২৩ | সময়: ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ